মাজার ভাঙা-লাশ পোড়ানো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১৬ পিএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তৌহিদী জনতার নামে দেশে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ একটি উদারনৈতিক রাষ্ট্র, যেখানে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে।
তিনি বলেন, সেই দেশে মাজার ভেঙে লাশ পোড়ানোর মতো ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের ঘটনার পেছনে অবশ্যই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজ আমরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছি। আমরা কারো মাজার ভাঙছি, লাশ পোড়াচ্ছি। এটা তো রাসুল (সা.) এর শিক্ষা নয়। অথচ তিনি ছিলেন ঐক্যের প্রতীক। কিন্তু আমরা সেই শিক্ষা গ্রহণ না করে নিজেদের ধর্মকে বিভক্ত করছি নানা ফেরকা ও ফিতনায়।
আরো পড়ুন : ‘নুরাল পাগলা’র দরবারে হামলা: ৩৫০০ জনকে আসামি করে মামলা
তিনি বলেন, পৃথিবীর কাছে গণতন্ত্রের চেতনা ও রাষ্ট্রীয় চেতনার নিদর্শন রেখে গেছেন আরবের সেই মহামানব। কিন্তু আমরা তা অনুসরণ করছি না। তিনি যে আদর্শ ও আল্লাহর কাছ থেকে প্রাপ্ত বাণী বিশ্বমানবের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন, যদি আমরা সামান্যতম অনুকরণ করতাম, তবে সমাজ থেকে অন্যায়-অনাচার, হানাহানি, রক্তারক্তি সব দূর হয়ে যেত।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ওপর বিপদ এলে আমরা দেশেই থাকি, আমাদের নেত্রী মিথ্যা মামলায় পাঁচ-ছয় বছর কারাবন্দি থেকেছেন। অথচ যারা একসময় মদিনা সনদের নামে দেশ চালানোর কথা বলেছিলেন, তাদেরই মন্ত্রীর বিদেশে ১৪০টি বাড়ি আর সন্তানের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমি। জনগণ এসব দেখেছে। এখনো দেখা যাচ্ছে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া সেসব নেতার অডিও-ভিডিও বার্তায় উসকানি দেওয়া হচ্ছে— “উল্টে দাও, ভেঙে দাও।” এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
রিজভী বলেন, বিএনপির আমলেও শেখ হাসিনা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এখন আবার সেই ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কি না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তা খতিয়ে দেখতে হবে।
মিলাদ মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর শরাফত আলী শফু প্রমুখ। মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজা।