বেরোবিতে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভিসি নিয়োগের আল্টিমেটাম

আজিজুর রহমান, বেরোবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
দ্রুত সময়ের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা, শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ অবস্থান মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এর আগে ভিসি নিয়োগের জন্য ৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভিসি নিয়োগের আল্টিমেটাম দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থী শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ভিসিহীন ক্যাম্পাসে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা সেশন জটের কবলে পড়ার শঙ্কা করছেন। শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন তুলতে পারছেন না।
আরো পড়ুন: ইতিহাসে প্রথম কাওয়ালি সন্ধ্যা নোবিপ্রবিতে
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের আত্মদানের মাধ্যমে আন্দোলনকে বেগমান ও স্ফুলিঙ্গ দান করেন। বৈষম্য দূর করার জন্য আত্মদান করলেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত সময়ের মধ্যে ভিসি নিয়োগ না দিয়ে আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উপাচার্য না থাকায় অনেকের ফাইনাল পরীক্ষা, পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করতে না পারায় এতে সেশন জোটে পড়ার শঙ্কায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভিসি নিয়োগের মাধ্যমে একাডেমিক ও আমাদের প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতি ফিরেয়ে আনা হোক। আরো বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসে নিয়োগ না দিলে রাস্তা অবরোধ এবং লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি পালন করা হবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে। একটি বৈষম্য শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালযয়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল এবং আন্দোলনকে বেগবান করেছিল। আমরা জানি যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক প্রধান না থাকেন প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত সব ব্যক্তিবর্গ ভুক্তভোগী হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মূল লক্ষ্য শিক্ষা কার্যক্রম সেই শিক্ষা কার্যক্রম মূল লক্ষ্য ব্যাহত হয়। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে যেভাবে গুরুত্ব দেয়ার কথা ছিল সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। আমাদের দাবি একটাই অল্প সময়ের মধ্যে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দিতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির দিকে ধাবিত হব।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট অধ্যাপক ডক্টর হাসিবুর রশিদ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।