কোটা আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার বিচারের দাবি

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
সারাদেশে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার বিচারসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অবদান রাখা একদল শিক্ষার্থী। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি চত্বরে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য'র ব্যানারে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে এই দাবি জানান।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ ও পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদ সরকারের গণহত্যার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
বক্তব্য প্রদানকালে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য' এর আহ্বায়ক মুতাছিম ভুঁইয়া রাফিদ বলেন, হাসিনা পালিয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদ পালিয়ে যায়নি। ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো সরকারের বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে আছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। উল্টো গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড ছাত্রলীগকে দেশ থেকে পালাতে সহায়তা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, হামলাকারীরা চিহ্নিত হওয়ার পরেও তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না। গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিবাদের দোসর ছাত্রলীগের বিচার না হলে আন্দোলনে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানী করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরো পড়ুন: রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইনের সংস্কারসহ ৪ দফা দাবি
এসময় 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য' এর যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিম আশরাফ অর্ণব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশ বাহিনী সংস্কারের কথা বলা হলেও বাস্তবে তার ছিটেফোঁটাও আমরা দেখতে পাই না। নারকীয় তাণ্ডব চালানো পুলিশ অফিসারদেরকে কেন বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না এ প্রশ্নের উত্তর আমরা রাষ্ট্রের কাছে চাই।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-
১. বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের অপকর্মের তদন্ত করা
২. তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাপোযুক্ত মামলা দেয়া
৩. ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বানিয়ে বিগত ১৫ বছরের সব অপকর্ম উন্মোচন করা
৪. গত ১৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখা ও ফ্যাসিজমের দোসর যেসব শিক্ষক আছেন তাদের অপসারণ করা
৫. বিপ্লবের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য ম্যুরাল, স্থাপনার নামকরণ কিংবা এ ধরণের পদক্ষেপ নেয়া
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৫ বছরে যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের বক্তব্য সামনে আনা এবং ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা করা।
আরো পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প বাড়ানোসহ ৭ দফা দাবি