মশক নিয়ন্ত্রণে দৈনন্দিন নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৭ টি ওয়ার্ডে ‘বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন’ কার্যক্রম তথা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ডিএসসিসির সব ওয়ার্ডে দৈনন্দিন নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি সংস্থার স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সমন্বয়ে ০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮, ০৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৮, ২২, ২৩, ৩৭, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৯, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে এসব চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

চিরুনি অভিযানে সকালে লার্ভিসাইডিং কার্যক্রম ও বিকেলে এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে ২৯৩ জন মশককর্মী এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৩৫১ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী অংশ নেয়। 

আরো পড়ুন: ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে সনদ প্রদান করবে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা

এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো গত ৩০ সেপ্টেম্বরের তালিকা অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগীর আবাসস্থল ও চারপাশে বিশেষ লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সারা দেশে মোট সনাক্তকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১১৫২ জন। তার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় রোগীর সংখ্যা ১৮৭ জন দেখানো হয়। কিন্তু তালিকা অনুযায়ী সরেজমিনে যাচাই-বাচাই শেষে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকার ৫৫ জন রোগী পাওয়া যায়। অন্যান্য রোগীরা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন এলাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় আত্মীয়-স্বজন কিংবা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছে।