বিশ্বখ্যাত ইরানি কবি হাফিজ এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মরণে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকায় ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ নজরুল আবৃত্তি পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এটি আয়োজিত হয়।

‘‘কবি হাফিজের অনুপ্রেরণায় নজরুল” শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. এম শমশের আলী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট কবি আল মুজাহিদি। 

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুস সবুর খান, বাংলাদেশ নজরুল আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি ও লাল মাটিয়া সরকারী মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শায়লা আহমেদ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মানিত উপ-সচিব  মোহাম্মদ জিহাদ উদ্দিন। 

এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকায় ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রর কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মির মুহাম্মদি। অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, বাংলার সঙ্গে পারস্যের যেমন গভীর সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ফারসি ভাষা এবং সাহ্যিতের অনেক প্রভাব রয়েছে। বাংলা ভাষাভাষি অনেক কবি সাহিত্যিক ফারসি সাহিত্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বিশেষ করে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইরানি কবি হাফিজ ও ওমর খইয়্যামের কবিতা অনুবাদ করেছেন এবং তাঁর নিজস্ব সাহিত্যকর্মেও ফারসি সাহিত্যের প্রভাব রয়েছে।

তারা বলেন, বিশ্বখ্যাত ইরানি কবি হাফিজ ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বিশ্বমানবতার কবি। দুজনের কাব্যেই ধ্বনিত হয়েছে মানবপ্রেম ও মানবতার মিলনের একই সুর। আজকের মানবসমাজ সংঘাত, সংঘর্ষ ও স্বার্থপরতার যে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত, তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো ভালোবাসা। সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসার চেয়ে ভালো ভাষা পৃথিবীতে আর কিছু নেই। আর এ কথাটি মহাকবি হাফিজ শত শত বছর আগেই তার ‘দিওয়ান’ এ বলে গেছেন। সুতরাং তিনি যে কত বড় মানবতাবাদী কবি ছিলেন, সেটি নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।