টানা তিন দফা দাম বাড়ানোর পর দেশের বাজারে স্বর্ণের দর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ১ হাজার ৩৬৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের মূল্য ১ লাখ ৪২ হাজার ১৬১ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪২ হাজার ১৬১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫ হাজার ৫৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজুস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

আরো পড়ুন: বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

গত ৩০ অক্টোবর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৩৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৬ হাজার ৫২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে ৩১ অক্টোবর থেকে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৪৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২৮ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১৮ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার। 

এদিকে স্বর্ণের দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ২ হাজার ৭৪১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬২৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৩৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রূপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৮০ টাকায়।