উবার বাংলাদেশের ৮ বছর: সাড়ে ৩ লাখ ড্রাইভার-পার্টনারের ১৬ কোটি ৬ লাখ ট্রিপ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং অ্যাপ উবার ৮ম বার্ষিকী উদযাপন করছে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ঢাকায় যাত্রা শুরুর পর দেশের পরিবহন খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে তারা। ধীরে ধীরে তাদের সেবার পরিধি বৃদ্ধি করে মানুষের নানাবিধ প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয়েছে।
উবার বাংলাদেশ গত আট বছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্ল্যাটফর্মটি ৭.২ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রীকে সেবা দিয়েছে এবং ৩.৫ লাখ ড্রাইভার-পার্টনারের জন্য আয়ের সুযোগ তৈরি করেছে। তাদের কার্যক্রমের বিস্তার সত্যিই অভূতপূর্ব। উবার চালকরা গত আট বছরে ১২২ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন, যা পৃথিবী থেকে চাঁদে প্রায় ৩০০০ বার যাতায়াত করার সমান!
২০১৬ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে উবার বাংলাদেশে ১৬.৬ কোটি ট্রিপ সম্পন্ন করেছে। এতে বোঝা যায় দেশজুড়ে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের বিপুল ও ক্রমবর্ধমান সংখ্যা রয়েছে। একইসঙ্গে সাড়ে ৩ লাখ ড্রাইভার-পার্টনার এখান থেকে আয় করেছেন।
উবার বাংলাদেশ ৮ম বার্ষিকী উপলক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অংশ হিসেবে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ ক্যাম্পেইন চালু করেছে। ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের আওতায় শীর্ষ ড্রাইভার-পার্টনার, যাত্রী ও হিরো পার্টনারদের স্বীকৃতি প্রদান এবং উদযাপনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তারা। যেমন-যাত্রাপথে চালক ও যাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য অন-ট্রিপ থ্যাঙ্ক ইউ টোকেন প্রদান করা হয়েছে।
টপ ড্রাইভার-পার্টনারদের জন্য একটি দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি শীর্ষ যাত্রীদের জন্য বিশেষ লাইফস্টাইল ভাউচার প্রদান করা হয়েছে। এই উদ্যোগগুলো কমিউনিটির প্রতি উবারের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। এই বিশেষ স্বীকৃতি তাদের সেবায় সবসময় এগিয়ে থাকা হিরো-পার্টনারদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে।
উবার বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস বলেন, গত আট বছরে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে উবার। যাত্রীদের চালকদের সঙ্গে সংযুক্ত করে তারা আমাদের প্ল্যাটফর্মের মেরুদণ্ড। আমরা আমাদের কমিউনিটির জন্য সেবা উন্নত করতে ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বছরজুড়ে উবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিআরটিএ-এর মতো সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করেছে। নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ-এর অংশ হিসেবে সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একাধিক উদ্যোগ চালু করা করেছে, যা কমিউনিটির প্রতি উবারের গভীর দায়বদ্ধতাকে দৃড়ভাবে প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় রাইডশেয়ারিং বাজার হিসেবে পরিচিত। এখানকার তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য ডিজিটাল প্রবেশাধিকার বাড়ানো ও শহরের রাস্তা থেকে যানজট কমানোর জরুরি। সরকার যখন একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে, উবার শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় বিপ্লব আনার একটি সুবর্ণ সুযোগ দেখতে পাচ্ছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করা হলে সড়ক ব্যবস্থাপনাকে নিরাপদ, স্মার্ট ও কার্যকর করার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের জন্য সহজতর পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।