কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি সাংঘর্ষিক অবস্থা এড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল কমিটির এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

সভা সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য বহিরাগত প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের পাশাপাশি পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

আরো পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যঙ্গ করার প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগের বিবৃতি

সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং শিক্ষার্থীদের বৈধ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে, ক্যাম্পাসে সন্দেহজনক কাউকে চিহ্নিত করা গেলে সে ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা, শিক্ষার্থীদের সমাবেশে কোনো ধরনের অস্ত্রশস্ত্র; যেমন- লাঠিসোঁটা, ইট, আগ্নেয়াস্ত্র ইত্যাদি বহন নিষিদ্ধ, সবাইকে নাশকতামূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে, নাশকতামূলক কাজে কেউ জড়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে যেকোনো ধরনের গুজব ছড়ানো এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং প্রক্টরিয়াল কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।