বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করেছে মুম্বাই পুলিশ।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোরে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামে ৩০ বছর বয়সী ওই যুবককে অভিনেতার বাড়ির ৩৫ কিলোমিটার দূর থেকে আটক করা হয়।

এক সংবাদ সম্মেলনে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, সাইফ আলি খানের হামলাকারী ভারতে ঢোকার পর নাম বদলে বিজয় দাস রেখেছিল।

পুলিশ কর্মকর্তা দীক্ষিত গেদাম আরো জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশি এবং অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিজের নাম পরিবর্তন করেছেন। তিনি বিজয় দাস হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন।

আরো পড়ুন: আমেরিকায় পাড়ি জমালেন সাইমন, পেশা বদলাচ্ছেন অভিনেতা?

মুম্বাই পুলিশের পক্ষে এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘৫-৬ মাস আগে মুম্বাইয়ে আসেন শেহজাদ। এরপর কিছুদিন শহরেই ছিলেন। অভিযুক্ত একটি হাউসকিপিং এজেন্সিতে কাজ করতেন। তার কাজ থেকে মিলেছে ভুয়া নথিপত্র। ভারতীয় নাগরিক হওয়ার কোনো পরিচয় দেখাতে পারেনি সে।’

অভিযুক্ত কি আগেও সাইফের বাড়িতে এসেছে, জানতে চাইলে ডিসিপি গেদাম বলেছেন, আমাদের কাছে এখনো এ সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে ধারণা করা যাচ্ছে, সে প্রথমবার চুরির উদ্দেশ্যে অভিনেতার বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন।

আরো পড়ুন: রণবীর-দীপিকার মধুর রসায়ন, অনুরাগীদের প্রশংসা

জিজ্ঞাসাবাদে শেহজাদ পুলিশকে বলেছেন, তিনি জানতেন না যে সাইফ আলি খানের বাড়িতে প্রবেশ করেছেন। তার উদ্দেশ্য ছিল চুরি করা এবং সে কারণেই তিনি বাড়িতে ঢুকেছিলেন। হঠাৎ সাইফ আলি খান তার সামনে হাজির হন এবং অভিনেতাকে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

মুম্বাই পুলিশের মতে, অভিযুক্তের কোনো অপরাধমূলক ইতিহাস নেই। পুলিশ মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদের সম্পর্কে আরো তথ্য সংগ্রহ করছে এবং জানার চেষ্টা করছে তিনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি কীভাবে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করলেন।

এদিকে সাইফের ওপর হামলাকারী যুবককে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশি বলে দাবি করলেও দাবির বিপরীতে কোনো প্রমাণ দেখায়নি মুম্বাই পুলিশ।

উল্লেখ্য, ‘সতগুরু শরণ’ ভবনের ১২ তলায় থাকেন সাইফ আলি খান। সেখানে অভিনেতা তার স্ত্রী কারিনা কাপুর এবং তাদের দুই ছেলে চার বছরের জেহ ও আট বছর বয়সী তৈমুর তাদের পাঁচ গৃহকর্মীকে নিয়ে থাকেন। হামলার পর সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে নিজেই হাসপাতালে ছুটে যান সাইফ।