দেশ সেরা ঝালকাঠির আমড়া, যাচ্ছে বিদেশেও!

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি থেকে
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৬ পিএম

ভিমরুলী গ্রামের ভাসমান হাটে প্রতিদিন নৌকায় করে আমড়া বেচাকেনা হয়। ছবি: ভোরের কাগজ
পুষ্টিগুণে ভরপুর, টক-মিষ্টি স্বাদের আমড়া এখন ঝালকাঠির অন্যতম অর্থনৈতিক ফসল হয়ে উঠেছে। জেলার ২০০টিরও বেশি গ্রামে আমড়ার চাষ হচ্ছে, যা স্থানীয়দের অর্থনৈতিক সচ্ছলতার পথ দেখাচ্ছে। এবার মৌসুমের শুরু থেকেই জমজমাট হয়ে উঠেছে ভীমরুলি ও আটঘর কুরিয়ানার ভাসমান হাটগুলো। দেশের বাজারে বিপুল চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও যাচ্ছে ঝালকাঠির এই সুস্বাদু আমড়া।
ভাসমান হাটে প্রতিদিনই ছোট ছোট নৌকায় চাষিরা নিয়ে আসছেন টাটকা আমড়া। বেচাকেনা শুরু হয় সকাল ৮টার থেকে, চলে দুপুর পর্যন্ত। প্রতিমণ আমড়া বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। স্থানীয় আড়তদাররা সরাসরি নৌকা থেকেই এই আমড়া সংগ্রহ করে, যা পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
পদ্মা সেতু চালুর পর পণ্যের দাম বাড়ায় আমড়া চাষে আগ্রহ বাড়ছে ঝালকাঠির চাষিদের। অনেক শিক্ষিত যুবক এই ফল চাষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। উৎপাদন বাড়ায় বাগান সম্প্রসারণ করছেন অনেকেই। এদিকে, ঝালকাঠির আমড়া চট্টগ্রাম হয়ে বিদেশে, এমনকি লন্ডনেও রপ্তানি হচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের নৌপথে দেশের বাইরেও এই পণ্য পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আড়তদাররা।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এ বছর ৬০২ হেক্টর জমিতে আমড়ার চাষ হয়েছে। এ থেকে ১২ টন আমড়া উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। পুরো মৌসুমে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার টন আমড়া উৎপাদিত হবে, যা থেকে ১৫ থেকে ১৭ কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, বন্যার কারণে আমড়ার আকার কিছুটা ছোট হলেও চাহিদা ও দাম বেশ ভালো রয়েছে।
আরো পড়ুন: কর্পোরেট কৃষির বিরুদ্ধে আফ্রিকান কৃষকদের বিপ্লব
চাষিরা জানিয়েছেন, আমড়ার গুণমান ভালো হওয়ায় এর চাহিদা বাড়ছে। তারা প্রশাসনের আরো সহযোগিতা চেয়েছেন, যাতে সরাসরি আমড়া ক্রয় করা এবং বিদেশে রপ্তানি সহজতর হয়। এতে করে চাষিরা আরো বেশি লাভবান হতে পারবেন।