×

আইন-বিচার

চার বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২৫ পিএম

চার বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন

সুপ্রিম কোর্ট। ছবি : সংগৃহীত

ফ্যাসিস্টের দোসর ও অনিয়মের অভিযোগে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা ১২ বিচারপতির মধ্যে এখনও চার বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর মধ্যে সর্বশেষ গত ৩১ আগস্ট বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে ৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৫ অক্টোবর রাতে ‘দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে ফেসবুকে ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তৎকালীন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।

১৬ অক্টোবর দুপুরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট চত্বরে প্রবেশ করে। একই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজও বিক্ষোভে যোগ দেয়। এ সময় রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়ে জানান, অভিযুক্ত ১২ বিচারপতিকে আপাতত কোনো বেঞ্চে দায়িত্ব দেওয়া হবে না।

আরো পড়ুন : বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র গৃহীত

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহালের পর বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চালাতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরায় সক্রিয় হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে নিয়ে তিন সদস্যের এ কাউন্সিল গঠিত হয়। কাউন্সিল অভিযোগ যাচাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পাঠায়।

বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহালের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হয়। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কার্যক্রম শুরু করে। অপর দুইজন হলেন, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।

কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে এই কাউন্সিল যাচাই বাচাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ প্রেরণ করেন। সংবিধান অনুসারে, প্রধান বিচারপতি ও জ্যেষ্ঠ দুইজন বিচারপতির সমন্বয়ে এ কাউন্সিল গঠিত হয়। এরপর কয়েকজন বিচারপতির অপসারণের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে কাউন্সিল।

এক বার্তায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতির বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি তাদের বেঞ্চ প্রদান থেকে বিরত থাকেন। তাদের মধ্যে একজন (বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন) গত ৩০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করেন।

এছাড়া দুইজন বিচারপতি (বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন) হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাননি। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে তারা নিয়োগ পেয়েছিলেন। ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই তাদের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে আরও ছয় মাসের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। গত ৩০ জানুয়ারি তাদের সেই বর্ধিত মেয়াদও শেষ হয়।

অপর দুইজন বিচারপতি (বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস) ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান গত ৩০ ডিসেম্বর এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস গত ৩০ জানুয়ারি তাদের চাকরিকালীন মেয়াদ পূর্ণ করে অবসরে যান।

এদিকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর রাষ্ট্রপতি দুইজন বিচারপতিকে অপসারণ করেন। এর মধ্যে বিচারপতি খিজির হায়াতকে গত ১৮ মার্চ এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে গত ২১ মে অপসারণ করা হয়। সর্বশেষ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ পত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন। এখন অপর চার (৪) বিচারপতির বিষয়ে বর্তমানে কাউন্সিলের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সুনামগঞ্জে কার-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ২

সুনামগঞ্জে কার-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ২

ডাকসুতে ভরাডুবি নিয়ে হতাশা প্রকাশ এনসিপি নেতাদের

ডাকসুতে ভরাডুবি নিয়ে হতাশা প্রকাশ এনসিপি নেতাদের

ছাত্র সংসদ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না : ব্যারিস্টার শাহেদুল

ছাত্র সংসদ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না : ব্যারিস্টার শাহেদুল

সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ঘোষণা হতে পারে ফল

জাকসু নির্বাচন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ঘোষণা হতে পারে ফল

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App