আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর মুক্তি পেতে আসামিদের ১২টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়, যেখানে হয়রানি ও অনৈতিক খরচের মুখোমুখি হতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তবে এসব ভোগান্তি নিরসনে সরকার ১৫ অক্টোবর থেকে অনলাইন জামিননামা কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, একজন আসামি আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর মুক্তি পেতে ১২টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। কোনো কোনো ধাপে তাকে টাকা দিতে হয়, আবার হয়রানির শিকার হতে হয়। এসব নিরসনের জন্য আমরা পাইলট প্রকল্প হিসেবে অনলাইন জামিননামা চালু করছি। এখন থেকে এক ক্লিকেই আদালতের জামিননামা সরাসরি সংশ্লিষ্ট কারাগারে পৌঁছে যাবে।

আরো পড়ুন : রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই উদ্যোগ সরকারকেই নিজেদের অর্থে বাস্তবায়ন করছি, কারও সহযোগিতা ছাড়াই। সরকারে অনেক অর্থ রয়েছে, যা ভালো কাজে ব্যবহার করলে অনেক পরিবর্তন আনা সম্ভব। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ১৬শ কোটি এবং রেজিস্টার অফিসে ১৫শ কোটি টাকা আছে। এসব অর্থ দিয়েই আমরা নিজেরাই বড় কাজ করতে পারি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় গঠন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই সম্পন্ন হবে। পাশাপাশি বিচার বিভাগ পৃথক সচিবালয় আইন, গুমের আইন, দুদক আইন ও মানবাধিকার আইন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ এবং ব্যারিস্টার অনীক আর হক।