দুর্নীতির মামলায় দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল  চিশতিসহ তিন জনকে ২০ লাখ ৫৯ হাজার ১৪৩ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত রায়ে এ অর্থদণ্ড করেন। রায়ে বাবুল চিশতিকে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৬৭৩ টাকা, ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ কে এম শামীমকে ৫ লাখ ৬০ হাজার ২০২ টাকা ও সাবেক ইভিপি ও হেড অব আইটি শাহ আজমকে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ২৬৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

এ অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পরিশোধের নির্দেশ দেন আদালত। ব্যর্থতায় দণ্ডিত প্রত্যেকের কাছ থেকে অর্থ আদায়যোগ্য হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন আদালত।

রায় ঘোষণা আগে বাবুল চিশতি ও কে এম শামীমকে কারাগার থেকে আদালদে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে পরে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর আসামি শাহ আজম জামিনে আছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারি সোহানুর রহমান সোহান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে বিজনেজ মিটিংয়ের নামে ২০১৭ সালের ১৯ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত লন্ডন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ ভাতা বাবদ দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ৯ লাখ ২৪ হাজার ৬৭৩ টাকা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন বাবুল চিশতি। এ অভিযোগে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট গুলশান থানায় বাবুল চিশতির বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সহিদুর রহমান।

মামলাটি তদন্ত করে তিন জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর একই ব্যক্তি তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। বাবুল চিশতির পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।