দ্বাদশ জাতীয় সংসদে রেলমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি রাজবাড়ী-২ আসন থেকে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিলেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ নেন তিনি। নতুন মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শপথগ্রহণ শেষে নবনিযুক্ত মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যদের মতো তিনিও নিজ শপথবাক্যে স্বাক্ষর করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার আনন্দবাজার গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জিল্লুল হাকিমের পৈতৃক বাড়ি পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে।

জিল্লুল হাকিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) পাশ করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কমান্ডার ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্যের পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। তার স্ত্রী সাঈদা হাকিম এবং দুই ছেলে মিতুল হাকিম ও রাতুল হাকিম। তারাও সফল ব্যবসায়ী।

ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন জিল্লুল হাকিম। মোট ৬ বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের প্রথম নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরের বার ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী নাসিরুল হক সাবুর কাছে হেরে যান তিনি। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নাসিরুল হক সাবুকে পরাজিত করে তিনি ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ ছাড়া ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলেন জিল্লুল হাকিম।

রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া স্বতন্ত্রদের মধ্যে বিজয়ী হন ৬২ জন, যাদের মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগের নেতা। আর জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।

গত মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট প্রকাশের পরদিন ১০ জানুয়ারি (বুধবার) শপথ নেন নব-নির্বাচিত এমপিরা। আর এমপিদের শপথ গ্রহণের একদিন পর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শপথ নিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।