দেশে রেল দুর্ঘটনা রোধে সেন্সর প্রযুক্তি চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রেল মন্ত্রণালয় । বিষয়টি নিয়ে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রেলওয়ের ১২১টি স্টেশন সিগনাল কম্পিউটার বেইজ ইন্টারলকিং সিস্টেমে  পরিচালিত হচ্ছে। দুর্ঘটনা পরিহারে যে কোন জরুরি অবস্থায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন থামানোর জন্য অটোমেটিক ট্রেন স্টপ (এটিএস) প্রযুক্তি বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। এটিএস প্রযুক্তিটি চালু হলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আগে মুহূর্তে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন বন্ধ হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি । 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে এমপি হাবিবুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করছিলেন।

রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলওয়ের টিকিট কালোবাজারি বোধসহ টিকিটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বর্তমানে ব্যাপক চেকিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। শুধু চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই  রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলে বিনা টিকেটের যাত্রীদের কাছ থেকে ৪ কোটি ৫৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৯ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। 

এমপি সিদ্দিকুল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রেলওয়েতে ৩৫৩ টি ট্রেন চলাচল করছে। এর মধ্যে আন্তঃনগর ১১২টি,  আন্তঃদেশীয় ৬টি, মেইল, এক্সপ্রেস ও কমিউটার ১৩৪টি, লোকাল-৭৫টি, গুডস ও কন্টেইনার ২৬টি।

এর আগে চলতি বছরের ২০ মার্চ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে ট্রেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সেন্সর প্রযুক্তি চালুর সুপারিশ করেছিলো রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সেই সঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে ট্রেনের সামনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি ক্যামেরা) স্থাপনেরও সুপারিশ করা হয়।