বিসিএস পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার আরের কুকীর্তির খবর ফাঁস হয়েছে। এবার মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় সড়ক ও জনপথের (সওজের) জায়গা দখল করে আবেদ আলী গরুর খামার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার প্রমাণ মিলেছে। উপজেলার কমলাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি সেতুর পাশেই এসব স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তিনি। 

বুধবার (১০ জুলাই) খবর পেয়ে ওইসব স্থাপনার সীমানা দেয়াল ভেঙে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্মাণকারীকে নোটিশও দেয়া হয়। 

সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেতু সংলগ্ন রাস্তার ডান পাশেই ১০০ গরু পালনের জন্য একটি খামার গড়ে তুলেছেন আবেদ আলী । গরুর খাবারের জন্য বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের ৬ থেকে ৮ সারি জায়গা তৈরি করা হয়েছে ইটের গাঁথুনি দিয়ে। স্থাপনার নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় খামারে বড় বড় আগাছা জন্ম নিয়েছে। এর বাম পাশে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য পিলার তৈরি করা হয়েছে।

এসব অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে ডাসারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ আফরোজ বলেন, 'ফেব্রুয়ারিতে ওই স্থাপনার বিষয়ে জানতে পারি। কমলাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ও জনপথের জমিতে আবেদ আলী ভবন তুলছিলেন। আমরা নির্মাণকাজ বন্ধ করে অসমাপ্ত ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দিয়েছি।'

অতি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে চাওর আবেদ আলীর অবৈধ সম্পদ গড়ার বিষয়ে অবগত আছেন জানিয়ে তিনি বলেন 'আবেদ আলীকে নির্দেশ দিয়েছি তিনি যেন তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে'।

গত ফেব্রুয়ারিতে ডাসার উপজেলা প্রশাসন সরকারি জায়গায় গরুর খামার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ । জানতে চাইলে মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, 'উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে আবেদ আলী সওজের সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। আমরা পরে ওই স্থাপনার সীমানা দেয়াল ভেঙে দিয়েছি এবং স্থাপনা নির্মাণকারীকে নোটিশ দেই যেন তিনি তার স্থাপনা সরকারি জায়গা থেকে সরিয়ে নেন।'

তিনি আরো বলেন, 'আবেদ তার স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছেন কি না এবং ওই জায়গার অবস্থা এখন কেমন, তা আমার জানা নেই। যদি দেখতে পাই অবৈধ স্থাপনা এখনো আছে, সেক্ষেত্রে স্থাপনা নির্মাণকারীকে আমরা আবার নোটিশ দেবো এবং প্রয়োজন হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।'