বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা ইউনূস সরকারকে অস্থিতিশীল এবং ব্যর্থ করার জন্যে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কয়েকজন উপদেষ্টা এবং সচিবসহ প্রশাসনের বিভিন্ন সেক্টরের কর্মকর্তারা হাসিনার সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। অনতিবিলম্বে এই তিন উপদেষ্টাকে অপসারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। বিগত কয়েকদিন আগে বিতর্কিত তিনজন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, শেখ বশির উদ্দিন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়োগ দেয়ায় জাতি হতাশ হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে নবনিযুক্ত তিন উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পরিষদ, সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীতে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের শনাক্ত করে অবিলম্বে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন : শেখ মুজিবের ছবি প্রসঙ্গে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রিজভীর উল্টো সুর

মানববন্ধনে সংগঠনের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো– নবনিযুক্ত তিন উপদেষ্টাকে অপসারণ; জঙ্গি সংগঠন ইসকনের প্রটেকশনদাতা সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে দ্রুত গ্রেপ্তার; সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভার কাউন্সিলরদেরকে উসকিয়ে দেয়া এবং প্রটেকশন দেয়ার অপরাধে মাহি বি চৌধুরী এবং বি চৌধুরীকে বাবা বলে সম্বোধনকারী চাষি মামুনকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য কাজী মোস্তাফিজুর রহমান দিপু এবং মহিলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শাহানাজ মতিন ঘূর্ণির ভগ্নীপতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা গণহত্যায় জড়িত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক-২ এর এডিশনাল ডিআইজি আলী আহমদ খানকে দ্রুত অপসারণ; গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বৃক্ষপালনবিদ কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের দোসর শেখ মো. কুদরত-ই-খোদার দ্রুত অপসারণেরও দাবি করা হয়। 

মানববন্ধনে মনোয়ার হোসেন বেগের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, সাবেক ছাত্রনেতা এম এ হাশেম রাজু, সাবেক ছাত্রনেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, শাহীন রেজা টিপু প্রমুখ।