সচিবালয়ে শিক্ষার্থী পেটানোর প্রতিবাদে সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করলো ৩ দল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ০২:২৭ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রাণহানির ঘটনায় শোকাহত মানুষের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সিপিবি, বাসদ ও বাংলাদেশ জাসদ চলমান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করেছেন।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১১টার কিছু পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের ১৮তম দিনের অধিবেশন শুরু হয়। সঞ্চালক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজকে বক্তব্য রাখতে অনুরোধ করেন।
কিন্তু এর আগেই সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বক্তব্য দিতে উঠে বলেন, মাইলস্টোন স্কুলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হচ্ছে, স্বৈরাচারী শাসক গোষ্ঠী এখনো সক্রিয়।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, একজন উপদেষ্টা বলেছেন, এই ঘটনার নেপথ্যে স্বৈরাচারীরা রয়েছে। আমরা জানি, স্বৈরাচার ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি আবারও সক্রিয়। অতীতে স্বৈরাচারী হাসিনা বিপদে পড়লে বলতো, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আজও সেই দৃশ্যই দেখছি।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ঐকমত্যের আলোচনা অবশ্যই জরুরি। তবে এই ঘটনায় প্রতিবাদ না করে এখানে থাকা সম্ভব নয়। তাই আমরা ১০ মিনিটের জন্য ওয়াকআউট করছি।
সিপিবি নেতার বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন এবং বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজও ওয়াকআউটে যোগ দেন। এতে কমিশনের বৈঠকে কিছুক্ষণ অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
তিন দলের ওয়াকআউটের পর সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ওয়াকআউট এই রাজনৈতিক দলগুলোর নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার। তাদের বক্তব্য আমরা নোট করলাম এবং আশা করি সরকার ও সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
প্রায় ১০ মিনিটের প্রতীকী ওয়াকআউটের পর সকাল ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে সিপিবি, বাসদ ও জাসদের নেতারা আবারও সংলাপে ফিরে আসেন এবং আলোচনায় অংশ নেন।