ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে: আলী রীয়াজ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০১ পিএম

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি : সংগৃহীত
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন না হলে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনগুলোতে যদি রাজনৈতিক দলগুলো একমতে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে নির্বাচনের মাধ্যমেও মৌলিক কোনো পরিবর্তন আসবে না।
শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ‘নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক সমঝোতার পথ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আলী রীয়াজ এসব মন্তব্য করেন।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমি বারবার আহ্বান জানিয়েছি। তারা সাড়া দিয়েছে, কিন্তু প্রক্রিয়াটা তো অনিঃশেষ হতে পারে না। কোনো না কোনো সময়ে এটা শেষ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন অবশ্যই করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে শুধু অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা নয়, জাতীয় নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এ সংকট মোকাবিলা করা।
আরো পড়ুন : জাকসু নির্বাচন: শুরুতে হল সংসদের ফল ঘোষণা
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন আমরা করছি এ কারণে যে রাষ্ট্রকাঠামোর ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন নিশ্চিত করতে চাই। সংস্কার কমিশনে কাজ করার সময় দেখেছি, গত ১৬ বছরের সংকট আসলে দীর্ঘদিনের। ভয়াবহ রূপ নিয়েছে কারণ ওই সময়ে ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কাঠামোগতভাবে সমস্যাগুলো আমাদের এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।
আলী রীয়াজ বলেন, যদি আমরা কাঠামোটা ঠিক না করি, শুধু সামান্য পরিবর্তন করি, তাহলে নির্বাচন করে ফল কী হবে? একজন বিজয়ী হবে, একটি দল ক্ষমতায় যাবে, দেশ শাসন করবে- কিন্তু আমরা তো চাই একটি সংহত গণতন্ত্র। তিন দফা (১৯৭৩, ১৯৯১ ও ২০০৯) চেষ্টার পরও যেটা পাইনি। কাঠামোগত পরিবর্তনে ঐকমত্য না হলে আমার শঙ্কা, আগামী নির্বাচনেও মৌলিক কোনো হেরফের ঘটবে না।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই এবং পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, সেটাই ভেঙে গেছে। এজন্যই পার্থক্য তৈরি হয়েছে। তবে যদি এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা স্পষ্ট করে দিতে পারি আমরা কী চাই, তাহলে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের পথ তৈরি হবে।