×

জাতীয়

জুলাই সনদ-গণভোট-আরপিও, সব তীর সরকারের দিকে

Icon

হরলাল রায় সাগর

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৭ পিএম

জুলাই সনদ-গণভোট-আরপিও, সব তীর সরকারের দিকে

ছবি : সংগৃহীত

নিবন্ধিত অর্ধেকেরও বেশি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ তৈরি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রাষ্ট্রের বৈষম্য দূর করার জন্য এই সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের সুপারিশমালাও দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। একই সঙ্গে আসছে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে সরকার। কিন্তু নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধিতা ততই তীব্র হচ্ছে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, এর আইনগত বৈধতার জন্য আদেশ জারি ও গণভোট, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং নির্বাচন বানচালের অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও মিত্র দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তার সমমনা দল এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা চলছে। এমনকি এসব ইস্যুতে সরকারকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। দলগুলোর অভিন্ন অভিযোগ, সরকার কোনো দলের প্রতি আনুগত্য, নতি স্বীকার ও পক্ষপাতিত্ব করছে।

চলমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য সরকারকে দায়ী করা হচ্ছে। প্রতারণারও অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর আগে প্রকাশ্যে নাম প্রকাশ করা না হলেও সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলা হয়। এতে বিব্রত ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সরকারের তরফে। তবে সরকারও চলমান সংকট নিরসনে উদ্যোগী হয়েছে। 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক করেছেন। এ সময় তিনি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে এবং নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

গত ২৯ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রথম সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন বানচালে ভেতরের বা বাইরের যে কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন তিনি। নির্বাচন-সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতেও বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এর আগে গত ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন। নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও (ইসি)। তবে এই নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র, কিংবা নির্বাচন বানচালের কথা বলে সংশয় প্রকাশ করে চলেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এমনিক সরকারের তরফ থেকেও একই ধরনের আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে। এ কারণে দেশের মানুষের মাঝেও সংশয় বাড়ছে; যদিও দেশের চলমান অস্থিরতা থেকে রক্ষায় দ্রুত নির্বাচনের আশা করছেন সংশ্লিষ্ট সবাই। 

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জাতীয় জুলাই সনদ প্রণয়ন করে। রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল নামে পরিচিত এই সনদ ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়। আওয়ামী লীগবিরোধী সরকারের অংশীজন হিসেবে পরিচিত এই দলগুলোর মধ্যে ২৫টি সনদে স্বাক্ষর করেছে। এনসিপি ও সিপিবিসহ ৫টি দল স্বাক্ষর করেনি। কিছু সংস্কার ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় বিএনপিসহ কিছু দলের ঐক্য না হওয়ায় এই সনদে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে।

ফলে সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য কমিশন ২৮ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশমালা দিয়েছে। এই সুপারিশমালায় রাজনৈতিক বিরোধিতা আরো উসকে দেয়। বিএনপি দাবি করছে, সুপারিশে তাদের দেয়া ভিন্নমত বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সুপারিশে জাতীয় সংসদ গঠন হওয়ার পর ৯ মাস (২৭০ দিন) সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে জুলাই সনদ স্বয়ংক্রীয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি কথা বলা হয়েছে। বিএনপি এই সুপারিশের তীব্র বিরোধিতা করছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে প্রতারক এবং আদেশ জারিকে সরকারের এখতিয়ারবহিভূর্ত বলে অভিযোগ করেছে দলটি। তবে সুপারিশে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় গণভোট নির্বাচনের দিন না আগে হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। যদিও বিএনপি দাবি জানিয়ে আসছে, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হবে। অন্যদিকে জামায়াত ও মিত্র ৭টি ইসলামী দল নির্বাচনের আগে চলতি নভেম্বরে গণভোটের দাবিতে আন্দোলন করছে। এর সঙ্গে রয়েছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিও। গণভোটের সময় নিয়ে এনপিসির অবস্থান মধ্যপন্থায়। তবে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের তরফ থেকে নির্বাচনের দিন একই আয়োজনে গণভোট অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। এতেও সরকারের ওপর চটেছে জামায়াত ইসলামী।      

এদিকে উপদেষ্টা পরিষদে গত ২৩ অক্টোবর পাস হওয়া ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫’ এর ২০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধ হলেও নির্বাচন করতে হবে নিজ শরিক দলের প্রতীকে। অর্থাৎ প্রার্থী জোটের মনোনীত হলেও তাকে ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে। বিএনপি ও মিত্ররা এর ঘোরতর বিরোধিতা করে আসছে। তারা আগের আইন (জোট শরিককে দলীয় প্রতীক দেয়ার সুযোগ ছিল) পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে সরকারের কাছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে সরকারও ফের আরপিও সংশোধনের আভাস দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল শরিকের প্রতীকে নির্বাচন করার নিয়ম পুনর্বহালের পক্ষে প্রস্তাব করেন। এর দুই দিন আগে ২৮ অক্টোবর আইন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ। বিএনপি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছে আরপিও সংশোধনের দাবি জানিয়ে।

অন্যদিকে ইসিতে আরপিও বহাল রাখার দাবি জানিয়ে পাল্টা চিঠি দিয়েছে জামায়াত। এনসিপিও এই আরপিও পুনর্বহালের বিরোধিতা করছেন। বিএনপির দাবিতে জোট শরিককে দলীয় প্রতীক দেয়ার নিয়ম পুনর্বহাল করে আরপিও সংশোধন করা হলে তা জামায়াতে ইসলামী মানবে না বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তিনি সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করেন, অগোচরে উপদেষ্টা পরিষদ আরপিও সংশোধন করছে- যা একটি দলের কাছে সরকারের নতি স্বীকার। আইন সংশোধনের মতো সিদ্ধান্ত কোনো একক ব্যক্তির নয় জানিয়ে গতকাল আইন উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছে এনসিপি।

এতে বলা হয়, সরকারের পক্ষে এমন কোনো আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি দেয়া, যা একটি নির্দিষ্ট দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, তা প্রশাসনের প্রতি জনআস্থাকে দুর্বল করবে। সেইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করবে। বিএনপিকে দেয়া আপনার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৩১ অক্টোবর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, ঐকমত্যের চূড়ান্ত নথিতে বিএনপির মতভেদ বা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ গোপন করে আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান জটিল পরিস্থিতি ও সংকট থেকে উত্তরণের পথ সরকারকেই খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে কোনো গণভোটের সুযোগ নেই। নির্বাচনের দিনই জনগণ দুটি ব্যালটে ভোট দেবে- একটি প্রার্থী নির্বাচনের জন্য, আরেকটি গণভোটের জন্য।  বিএনপি মহাসচিব গতকাল বলেন, আজকে একটা নতুন করে কথা উঠছে, ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশে একধরনের উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই উগ্রবাদকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া যাবে না। তাহলে বাংলাদেশের যে অস্তিত্ব আছে, সেই অস্তিত্ব রক্ষা পাবে না।

জুলাই সনদ ইস্যুতে বিএনপি যদি প্রতিবাদের পথ বেছে নেয়, তবে বর্তমান সরকার টিকতে পারবে না বলে মন্তব্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যদি মাঠে নামি, তাতে সরকার টিকে থাকবে কিনা সন্দেহ। তবু আমরা শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার পক্ষে। জুলাই সনদে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে অনেক রদবদল ও ত্রুটি রয়েছে। এই ইস্যুতে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে, জনগণ তা বুঝে ফেলেছে। অথচ প্রধান উপদেষ্টা ও সরকার নীরব আছে। সরকারকে এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিএনপি এখন ধৈর্য ধরে সরকারের অধীনেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করছে। বিএনপির আরেক নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীরবিক্রম) বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের জন্য জুলাই সনদের প্রয়োজন আছে, জনগণের জন্য প্রয়োজন নেই। 

গণভোট ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতের মতভেদ নিয়ে সংঘাতের শঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করে গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ফেব্রুয়ারিতে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হবে। যারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে, তাদের বলব জাতীয় নির্বাচনে ৭০ শতাংশ ভোট পড়লেই তা অংশগ্রহণমূলক হবে।

এনসিপি আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সংস্কার বাস্তবায়নের সুপারিশ, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে দেশে রাজনৈতিক যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সমানভাবে দোষী। এক দল সংস্কারকে ভেস্তে দিচ্ছে, আরেক দল নির্বাচনকে পেছানোর চেষ্টা করছে। তিনি চলতি মাসের মধ্যেই প্রদান উপদেষ্টাকে সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করার দাবি জানিয়েছেন।  

বর্তমানে তৈরি হওয়া সংকটের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার দায়ী বলে মন্তব্য করে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, যেই সংকট তৈরি হয়েছে এর একটা অন্যতম কারণ হচ্ছে- এই অন্তর্বর্তী সরকার তার প্রিন্সিপাল পজিশনে নাই। বিএনপির চাপে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) কতক্ষণ ডানে ছোটেন, জামায়াতের চাপে তিনি কিছুক্ষণ বামে ছোটেন; এনসিপির চাপে মাঝেমধ্যে উপর দিকেও উঠতে চেষ্টা করেন। ঘেরাও না করলে দাবি আদায় হয় না। আমাদের অনুরোধ হচ্ছে, আপনাদের অবস্থান ঠিক করেন। আপনারাও যদি রাষ্ট্রের মালিক হয়ে যান তাহলে হবে না। আপনাদের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার, মানুষের প্রয়োজনের কথাগুলো শুনতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলার ঐক্য না হওয়ার একটা প্রধান কারণ হচ্ছে- চেয়ারে কে আগে বসবে কে পেছনে বসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

সংশোধিত আরপিওর পক্ষে কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিপক্ষে এনসিপি। গণভোট নির্বাচনের দিনও হতে পারে, আগেও হতে পারে। গণভোট নিয়ে দুই দল মারামারি করবে এটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আপনাদের এই ধরনের যুদ্ধ নির্বাচনকে ব্যাহত করবে। নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য দুই দলকে আহ্বান জানাব নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না। গণভোটের সময়টা নিয়ে আপনারা এই ধরনের কুতর্ক এড়িয়ে চলুন।

জনগণের ওপর রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত চাপিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) আহবায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, কী করলে পরে বাংলাদেশ রাষ্ট্র জনগণের হবে, এ আলোচনা রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে নেই; বরং তারা বলছেন, এই সংস্কার আমি চাই এটাই জনগণের; এই সংস্কার আমি চাই না, এটাই জনগণের। তিনি বলেন, পটপরিবর্তনের পর আশা ছিল বাংলাদেশে নতুন সূচনা হবে। দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করলেন, উনারা শুধু ভাবলেন কী করে রাষ্ট্রের এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসা যায়।

আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, আমাদের মধ্যে এখনো শঙ্কা হয়- নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে বাক্স ছিনতাই হবে কিনা, যারা দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি করতে পছন্দ করে এমন কেউ ক্ষমতায় যাবেন কিনা। এসব শঙ্কা থেকে যাওয়াই তো আমাদের জন্য ব্যর্থতার সংকেত দেয়। অথচ আমরা একটি বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র চেয়েছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

এবার নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর নামে মামলা যুবদল নেতা নয়নের

এবার নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর নামে মামলা যুবদল নেতা নয়নের

পিএসসির সামনে অ্যাকশনে সেনাবাহিনী

পিএসসির সামনে অ্যাকশনে সেনাবাহিনী

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই যেসব প্রভাবশালী নেতার নাম

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই যেসব প্রভাবশালী নেতার নাম

তিন আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া, তারেক রহমান একটিতে

তিন আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া, তারেক রহমান একটিতে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App