বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের উদ্যোগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেয়া সব মিথ্যা মামলা নিষ্পত্তির দাবি নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নাসরুল হামিদ মিলনায়তনে বিভিন্ন রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মীর ইদ্রিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী বলেন, সবাই যখন মুক্তি পেলো আমার ভাই জেলে কেন? মুন্নি সাহা গ্রেপ্তার হয়ে ছাড়া পায়, সাবের হোসেন চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি হয়েও ছাড়া পায়, কিন্তু আমাদের বহু আলেমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিনা কারণে বিচারবিহীন কারাবরণ করছে। শুধুমাত্র ভারত বিরোধিতার কারণে তারা ছাড়া পায়নি।

তিনি বলেন, হেফাজত ইসলামসহ রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক অনেক নেতাকর্মী এখনো কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। তাই আমি উপদেষ্টাদেরকে বলবো ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যারা মামলা হামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, কারাগার থেকে মুক্তি পায়নি তাদেরকে মুক্তি দিন। না হলে হেফাজতে ইসলাম যদি শুধু ঢাকার রাস্তায় বসে থাকে, তবে বর্তমান উপদেষ্টারা হাসিনার চেয়েও নির্মমভাবে পালাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।  

বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের নেতারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশে স্বাধীনতা আসলেও অনেকের কারামুক্তির ব্যাপারে বৈষম্য রয়ে গেছে। আওয়ামী সরকারের আমলে যারা নির্বিচারে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, কারাবরণ করেছিল মামলা হামলার শিকার হয়েছিল এখনো অনেকেই কারাগার থেকে মুক্তি পায়নি। মামলা থেকে অব্যাহতি পায়নি। এক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েই গেছে।

তারা বলেন, সেই বৈষম্য দূর করতে আজকে আমাদের এই আন্দোলন। সবাই যখন মুক্তি পেলো আমার ভাই জেলে কেন? যেখানেই বন্দিদের ওপর বৈষম্য হবে সেখানেই বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার। আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন, হেফাজতে ইসলামের

নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, হেফাজতে ইসলামের সহ প্রচার সম্পাদক মুফতি মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের সদস্য মাওলানা মো. ইসাক খান, আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, আহমদ রফিক এবং মো. শফিকুল ইসলাম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আশিক আল আবিদ, মোহাম্মদ সাইফুল, বাংলাদেশ ছাত্র জমিয়তের সভাপতি মো. ইমরান হোসাইন।

আরো পড়ুন : মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মদিন আজ