ফেসবুকে পূজোর ভোগ নিয়ে তসলিমা নাসরিনের পোস্ট, মুহূর্তেই ভাইরাল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২০ পিএম

তসলিমা নাসরিন। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত প্রথিতযশা লেখিকা তসলিমা নাসরিন নিজের ফেসবুকে এবার দুর্গা পূজা নিয়ে পোস্টে করেছেন। শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে তিনি পূজোর ভোগ হিসেবে পান্তা ভাত, মাছের ডিমের বড়া, ইলিশ মাছ ভাজা, ছোলার ডাল, চাটনি এবং জর্দা ভাত খাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অবাঙালিরা পুজোর দিনগুলোতে মাছ-মাংসের কথা কল্পনাও করতে পারে না।’
তসলিমা নাসরিন বর্তমানে ভারতের দিল্লিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থান করছেন। তার এই পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে অনেকেই তাদের মতামত ও মন্তব্য প্রকাশ করেছেন।
বিকাশ মজুমদার নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘ছোট একটা মাছের পিস দিয়েছে আপনাকে।’ অন্যদিকে দেবব্রত সাহা বলেছেন, ‘দিদি, ইলিশ মাছের পিসটা আরেকটু বড় হলে ভালো হতো।’
অনেক ব্যবহারকারী পূজোর আমিষ খাদ্য নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও শেয়ার করেছেন। সুনন্দা দাস লিখেছেন, ‘অনেক বাঙালিরাও (ঘটি বা এদেশীয়রা) পূজোতে আমিষ খাদ্য খান না। এদেশীয়রা কল্পনাই করতে পারেন না।’
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘এটা কোথায়? আগে জানলে যেতাম!’
আলপনা জাহান সানি, তসলিমা নাসরিনকে অনেক সুন্দর ও মানবিক মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি লিখেন, ‘আমরা ধন্য, আপনি আমাদের দেশের এবং আমাদের প্রিয় লেখিকা। মানবতার জয়গান গাইতে, আপনার অনুপ্রেরণা চিরদিন আমাদের পথপ্রদর্শন করবে।’
একজন মন্তব্যকারী বলেছেন, ‘দশমীর দিন দুর্গা মা পান্তা ভাত খেয়ে বাপের বাড়ি থেকে বিদায় নেন, তাই দশমীতে পান্তা খাওয়ার রেওয়াজ।’
এদিকে, তসলিমা নাসরিনের এই পোস্টে অনেকেই পূজোর সময় আমিষ এবং নিরামিষ খাবারের ঐতিহ্য নিয়ে মন্তব্য করেছেন। একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, ‘আমরা নবমীতে আমিষ খাই, তবে ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী নিরামিষ আর সারা বছরে ২০০ দিনই নিরামিষ।’
আরো পড়ুন: ফেসবুকে তসলিমা নাসরিনের স্ট্যাটাস ভাইরাল, যা লিখলেন তিনি
তসলিমা নাসরিনের এই পোস্টটি তার ফেসবুক বন্ধুদের মধ্যে বিভিন্ন মতামত এবং আলোচনার সৃষ্টি করেছে, যা প্রমাণ করে বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।