যেকোনো ক্রীড়াবিদের কাছেই অলিম্পিক স্বপ্নের মঞ্চ। বাছাইপর্বসহ নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অলিম্পিকে অংশ নেন ক্রীড়াবিদরা। অনেক ক্ষেত্রে পদকের চেয়ে অংশ নিতে পারাটাই বড় বিষয় হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে ব্রাজিলের তারকা আনা ক্যারোলিনা ভিয়েরা দুর্ভাগাই বটে। প্যারিস অলিম্পিকে ব্রাজিলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে প্রতিযোগিতার আগেই দেশে ফিরতে হলো তাকে।

ব্রাজিলের তারকা সাঁতারু ক্যারোলিনা ভিয়েরা। এবারের অলিম্পিকে দেশের জন্য পদক জেতার উদ্দেশে এসেছিলেন। একই দলে থাকা গ্যাব্রিয়েল সান্তোসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ক্যারোলিনার। ভালোবাসার শহর প্যারিসে আলো ঝলমলে রাতে নিজেদের মতো করে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন তারা। এবার প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়াটাই কাল হলো ক্যারোলিনার।

মূলত গেমস ভিলেজের বাইরে রাত্রিকালীন ভ্রমণে গিয়েছিলেন তারা। তবে কর্তৃপক্ষ কিংবা দলের সংশ্লিষ্ট কাউকেই জানিয়ে যাননি তারা। এ ঘটনায় ক্যারোলিনা এবং সান্তোসের ওপর অসন্তুষ্ট হয় ব্রাজিলের অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ। গেমস ভিলেজে ফিরে আসার পর দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ক্যারোলিনা। অপমানজনক এবং আপত্তিকর ভাষায় চেঁচামেচিও করেন এই সাঁতারু। ব্রাজিলিয়ান অলিম্পিক কমিটির ভাষায় ক্যারোলিনার আচরণ ‘অসম্মানজনক এবং আগ্রাসী মনোভাবের’ ছিল।

বিষয়টি ব্রাজিলিয়ান অলিম্পিক কমিটির পছন্দ হয়নি। এতে প্রতিযোগিতার জন্য তাকে নিষিদ্ধ করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে জিজ্ঞাসাবাদে নম্র ছিলেন প্রেমিক গ্যাব্রিয়েল সান্তোস। নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। তাই তাকে সুযোগ দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান কর্তৃপক্ষ। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাজিলিয়ান কনফেডারেশন অব অ্যাকুয়াটিক স্পোর্টস জানায়, ক্যারোলিনা অসম্মানজনক এবং আগ্রাসী ভাষায় সুইমিং টিম কমিটির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। যে কারণে তাকে প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ এবং অবিলম্বে ব্রাজিলে ফেরত পাঠানো হয়। দেশটির কোচ গুস্তাভো ওতসুকাও দলের খেলোয়াড়ের কড়া সমালোচনা করেছেন।

ব্রাজিলের কোচের ভাষ্য, ‘আমরা এখানে ব্রাজিলের জন্য লড়তে এসেছি। কোনো ছুটিতে আসিনি। আমাদের ওপর ব্রাজিলের যে ২০ কোটি জনতা ট্যাক্স প্রদান করে তাদের দায়বদ্ধতা আছে। আমরা এখানে নিছক মজা করতে পারি না।’