ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে সাকিব আল হাসানের বোলিং ছিল একেবারেই নির্বিষ। অথচ এক সপ্তাহ আগেই কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে সমারসেটের বিপক্ষে সারের হয়ে ৬৪ ওভার বল করে ৯ উইকেট তুলে নেন সাকিব। তবে চেন্নাইয়ে সাকিবের অনিয়মিত বোলিংয়ে আসা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। তার আঙুলের চোটের অস্ত্রপাচার নিয়ে গতকাল মন্তব্য করেন দুই ধারাভাষ্যকার মুরালি কার্তিক ও টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে এই প্রসঙ্গে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।

চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাকিব বোলিংয়ে এসেছিলেন ৫৩তম ওভারে। দ্বিতীয় ইনিংসে দশম ওভারে এলেও সাকিবকে সাকিব মনে হচ্ছিল না। তেমন একটা বোলিং করেননি সাকিব। করলেও কার্যকর মনে হচ্ছিল না। পাকিস্তান সফরে এবং কাউন্টি ক্রিকেটে ভালো বোলিং করে এলেও চেন্নাইয়ে বোলার সাকিবকে কেন এমন অচেনা মনে হয়েছে সবার। ধারাভাষ্যকার মুরালি কার্তিক কৌতূহল মেটাতে সাকিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে ধারাভাষ্যে এসে চমকে যাওয়ার মতো একটা তথ্য জানিয়েছেন কার্তিক। তিনি জানান, ‘তার বাম হাতের স্পিনিং ফিঙ্গারে একটা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সেটি এখন ফুলে গেছে, শক্ত হয়ে আছে। ওই আঙুলে সাকিব বলের অনুভূতিটাও পাচ্ছে না। স্পিনার হিসেবে বলের অনুভূতিটা দরকার।’

কার্তিকের কথার সূত্র ধরে আরেক ধারাভাষ্যকার তামিম ইকবাল যৌক্তিক একটা প্রশ্ন তোলেন, ‘মুরালি বলেছে আঙুলের সমস্যার কারণে সাকিব বল গ্রিপ করতে পারছে না। তাহলে বাংলাদেশ চারজন ফ্রন্টলাইন বোলার নিয়ে খেলছে।

টিম ম্যানেজমেন্টের অবশ্যই জানানো উচিত, তারা এই ইনজুরির কথাটা আগে থেকেই জানত কিনা।’ সাকিবের আঙুলে সম্প্রতি অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে তথ্যটা একেবারেই নতুন। সেটি হয়ে থাকলেও তা এত কম সময়ে সম্ভব নয়।

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ বলেছেন, ‘সাকিব কিন্তু আমাদের কাছে আঙুল নিয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। এটা ঠিক, ওর আঙুলে চিড় ছিল। তখন আঙুল বেঁধে রেখেছিল কিছুদিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তো আঙুল নিয়ে তার কোনো অভিযোগ শুনিনি। এরপর সার্জারি হলে তো আমরা জানতাম। তার সর্বশেষ সার্জারি হয়েছিল সেই এশিয়া কাপের সময় ২০১৮ সালে। এরপর সার্জারি হয়নি, ফ্র্যাকচার হয়েছে, ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতে।’ গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ-হাতির তর্জনী ভেঙে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচে না খেলে সাকিব দেশে ফিরে আসেন। ভেঙে যাওয়া সেই আঙুলে এখনো কোনো অস্বস্তি থেকে যেতে পারে বলে ধারণা দেবাশীষের, ভাঙা আঙুল কখনো আর আগের জায়গায় আসে না। সাকিব ওটাকে ম্যানেজ করে খেলছে। আমাদের হয়তো জানায়নি। কিন্তু অস্বস্তি থাকতেও পারে।’