পাওয়ার প্লেতে জোড়া উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী অনিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে শক্ত পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩২২ রানের টার্গেট দিয়েছে সফরকারীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ওয়ার্নার পার্কে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৬৩ বলে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ব্যাটিংয়ে নেমে আলজেরি জোসেফের প্রথম ওভারেই ক্যাচ তুলেছিলেন সৌম্য সরকার। তবে স্লিপে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন ব্র্যান্ডন কিং। এতে শূন্য রানে ‘জীবন’ পান সৌম্য।

তবে জোসেফের পরের ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন তামিম। রাদারফোর্ডকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ৫ বলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।

এরপর নিজের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাস। এজ হয়ে ২ বলে ০ করে ব্র্যান্ডন কিংয়ের হাতে স্লিপে ধরা পড়েন তিনি।

৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর বিপর্যয় সামলে নেন ওপেনার সৌম্য। শতরানের জুটিও গড়েন সৌম্য আর মিরাজ। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দুজনই হাফ-সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন।

হাফ-সেঞ্চুরির পর আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে স্কোরশিটে দ্রুত রান জড়ো করায় মনযোগ দিয়েছিলেন সৌম্য। তবে তাকে বেশি দূর এগোতে দেননি গুড়াকেশ মোতি। বা-হাতি এই স্পিনারের মিডল স্টাম্পের বলে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন সৌম্য। আবেদনে সাড়া দিয়ে আউট দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি এই ওপেনারের। ৭৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

এরপর দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মিরাজ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রান-আউট হয়ে ফেরেন তিনি।

রাদারফোর্ডের সরাসরি থ্রোয়ে ভাঙে স্টাম্প। মনে হচ্ছিল, সময়মতো ব্যাট পপিং ক্রিজে ঢুকিয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু রিপ্লেতে ভিন্ন চিত্র। অল্পের জন্য রানআউট হয়ে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৭৩ বলে ৭৭ রান করে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।

মিরাজের পর আফিফও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। পরের ওভারেই তার উইকেট হারায় সফরকারীরা। রাদারফোর্ডের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট ডেলিভারি লেগ সাইডে টেনে খেলতে গিয়ে মিড–উইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে ২৯ বলে ১৫ রান করে ফেরেন আফিফ।

৬ বলের মধ্যে দুই উইকেট হারানোর পর জাকেরকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। তার সঙ্গে জাকেরও মারমুখী ব্যাটিং চালিয়ে যান। ৪৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ফিফটির দেখা পান তিনি। এরপর জাকেরও ফিফটির দেখা পান। ৫ চার ও ১ ছক্কার মারে ফিফটি করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এরপর আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেন তারা। দুজনের ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।