শ্রীলঙ্কা সফরে স্টিভ স্মিথের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলে পুনরায় ডাক পেয়েছেন ওপেনার নাথান ম্যাকসোয়েনি। এ ছাড়া স্পিন নির্ভর টেস্ট দলটিতে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন অলরাউন্ডার কুপার কনোলি।

নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের কারণে এই দলে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে সতীর্থ আরেক ফাস্ট বোলার জস হ্যাজেলউডকে কাফ ইনজুরির কারণে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তবে ১৬ সদস্যের দলে সম্প্রতি দল থেকে বাদপড়া মিচেল মার্শের জায়গা হয়নি।

টপ-অর্ডারে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় ভারতের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচের পরেই ম্যাকসোয়েনি বাদ পড়েছিলেন। তার জায়গায় ১৯ বছর বয়সী স্যাম কনস্টাসের অভিষেক হয়।

আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে গলে শুরু হওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এই দু’জনকেই দলে রাখা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে ন্যাথান লিঁওর সঙ্গে ম্যাট কুনেমান ও টড মার্ফি টেস্ট দলে আরো যোগ দিচ্ছেন।

২১ বছর বয়সী কনোলি টেস্ট অভিষেকের দ্বারপ্রান্তে আছেন। নির্বাচক প্যানেল অবশ্য দলে শ্রীলঙ্কার টার্নিং পিচে বাড়তি একটি স্পিনার হিসেবে কনোলির বাঁ-হাতি অফস্পিন বোলিংকেও মাথায় রেখেছেন।

নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেছেন, ‘ভিন্ন একটি কন্ডিশনে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট ম্যাচ খেলা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। উইকেটের উপর নির্ভর করে প্রতি ম্যাচে মূল একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে। দলে সেই ধরনের ভিন্নতা রয়েছে।’

সিডনিতে ভারতের বিপক্ষে শেষ টেস্টে দারুণ অভিষেকের পর অলরাউন্ডার ওয়েবস্টার মার্শের স্থানে দলে জায়গা ধরে রেখেছেন। বিদেশের মাটিতে নির্বাচকরা অপেক্ষাকৃত তরুণ দলের উপর আস্থা রাখতে চাইছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুনদের উপরই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কে বেইলি বলেন, ‘উপমহাদেশের কন্ডিশনে নিজেদের টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করতে যাওয়া দলীয় সদস্যদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি। ভবিষ্যতে এই ধরনের কন্ডিশনে আমাদের বেশ কিছু সফর রয়েছে।’

সম্প্রতি ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে শেষ হওয়া পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড: স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), ট্রাভিস হেড, সিন অ্যাবট, স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স ক্যারি, কুপার কনোলি, জস ইংলিস, উসমান খাজা, স্যাম কনস্টাস, ম্যাট কুনেমান, মার্নাস লাবুশানে, ন্যাথান লিঁও, নাথান ম্যাকসোয়েনি, টড মার্ফি, মিচেল স্টার্ক, বো ওয়েবস্টার।