ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ওয়েবসাইট ও ডিজিটাল ডোনেশন কার্যক্রম উদ্বোধন

হারিছ আহমেদ, কিশোরগঞ্জ
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম
পাগলা মসজিদে দান নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনী ও বিশ্বাস। প্রচলিত রয়েছে, এখানে দান করলে মনবাসনা পূরণ হয়। তাই দেশ-বিদেশের মানুষ নির্দ্বিধায় দান করেন এই মসজিদে। বছরে চারবার খোলা হয় দানসিন্দুক, আর প্রতিবারই বেরিয়ে আসে বিপুল পরিমাণ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা।
দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্স-এর ওয়েবসাইট এবং অনলাইন ডোনেশন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মসজিদ চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান প্রজেক্টরের মাধ্যমে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসক জানান, দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাগলা মসজিদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছে। অনেকেই দান করতে চাইলেও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম না থাকায় দান করতে পারছিলেন না। এসব বিষয় মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজাবে রহমত, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও মো. এরশাদ মিয়া, পাগলা মসজিদের খতিব মাওলানা আশরাফ আলী, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার অধ্যক্ষ মাওলানা শিব্বির আহমাদ রশিদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমীর অধ্যাপক রমজান আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মো. আলমগীর হোসাইন তালুকদার। এছাড়াও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পাগলা মসজিদের ইমাম বলেন, দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য পাগলা মসজিদে দান করা এখন আরও সহজ ও স্বচ্ছ হলো। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক পেমেন্ট অপশনে অনলাইনে দান করা যাবে।
পাগলা মসজিদের দান ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করে আরও স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান উপস্থিত বক্তারা।
এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পাগলা মসজিদ এখন প্রযুক্তি-ভিত্তিক আধুনিক ব্যবস্থাপনায় এক নতুন দিগন্তে যাত্রা করল। জনসেবামূলক কাজে এটি আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।