×

এশিয়া

থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া রক্তক্ষয়ী সংঘাত, দু’দিনে নিহত ৭

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪১ এএম

থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া রক্তক্ষয়ী সংঘাত, দু’দিনে নিহত ৭

ছবি : সংগৃহীত

চার মাসের স্থিতাবস্থা ভেঙে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত এলাকায় ফের সংঘাত শুরু হয়েছে। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এই উত্তেজনায় দু’দিনে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭ জন। নিহতদের মধ্যে ৬ জন কম্বোডিয়ার, একজন থাই সেনা সদস্য।

কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সর্বশেষ সোমবার রাতে সীমান্ত এলাকায় থাই বাহিনীর ছোড়া গোলায় নিহত হয়েছেন দুই বেসামরিক নাগরিক। এতে দুই দিনে কম্বোডিয়ার মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। থাইল্যান্ডে নিহত ব্যক্তি দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্য। খবর রয়টার্সের।

বেসামরিক জনগণের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেন, থাইল্যান্ড সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের নাটক সাজিয়ে কম্বোডিয়ার সাধারণ গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।

আরো পড়ুন : কম্বোডিয়ার বিমান হামলা চালালো থাইল্যান্ড

অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী দাবি করে, উপকূলীয় ত্রাত প্রদেশের জলসীমায় কম্বোডিয়ার সেনা উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযান চালায় থাই নৌবাহিনী, এতে কম্বোডীয় সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কম্বোডিয়া থাই স্থল ও জলসীমায় ভারী অস্ত্র, স্নাইপার শ্যুটার ও প্রতিরক্ষামূলক কাঠামো বাড়াচ্ছে, এমনকি সীমান্তে পরিখাও খনন করছে। থাই নৌবাহিনী এই তৎপরতাকে থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি ও গুরুতর হুমকি বলে উল্লেখ করেছে।

দুই দেশের বর্তমান সংঘাতের পেছনে রয়েছে পান্না ত্রিভুজ বা এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল নিয়ে দীর্ঘ ১১৮ বছরের বিরোধ। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও লাওসের সীমানা মিলিত এ অঞ্চলের প্রাচীন মন্দিরসমৃদ্ধ ভূখণ্ডটি উভয় দেশ নিজেদের বলে দাবি করে।

১৯০৭ সালে ফরাসি উপনিবেশিক প্রশাসন প্রকাশিত মানচিত্রে এ অঞ্চল কম্বোডিয়ার অংশ হিসেবে দেখানো হলে থাইল্যান্ড তখনই আপত্তি জানায়। ১৯৫৩ সালে ফ্রান্সের শাসন থেকে স্বাধীন হওয়ার পরও কম্বোডিয়া পান্না ত্রিভুজের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে, ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আর স্বাভাবিক হয়নি।

দীর্ঘ সংঘাতের পর ১৫ বছর আগে যুদ্ধবিরতিতে গিয়েছিল দুই দেশ। কিন্তু গত বছরের মে থেকে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। জুলাইয়ের শেষ দিকে সংঘাতে নিহত হন দুই দেশের ৪৮ জন নাগরিক, এবং প্রায় ৩ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়।

চার মাস শান্ত থাকার পর গত রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার পর থাই প্রদেশ সি সা কেতে ফের সংঘাত শুরু হয়। থাই দৈনিক ব্যাঙ্কক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, রোববারই জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থাইল্যান্ড। অভিযোগ ছিল—কম্বোডিয়া গোপনে থাই ভূখণ্ডে বিপুল পরিমাণ ল্যান্ডমাইন পেতে রেখেছে, যার বিস্ফোরণে থাই ও চীনা নাগরিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনার তদন্ত চেয়ে জাতিসংঘকে আহ্বান জানানো হয়।

ওই অভিযোগ জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে সি সা কেত সীমান্তে গুলি ছোড়ে কম্বোডীয় সেনারা। এতে আহত হন দু’জন থাই সেনা সদস্য। হঠাৎ এই হামলার জবাবে কম্বোডিয়ার ভেতরে বিমান অভিযান শুরু করে থাই প্রতিরক্ষা বাহিনী। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে পুরোদমে সংঘাত শুরু হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

রোকেয়া দিবস আজ

রোকেয়া দিবস আজ

থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া রক্তক্ষয়ী সংঘাত, দু’দিনে নিহত ৭

থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া রক্তক্ষয়ী সংঘাত, দু’দিনে নিহত ৭

দুর্নীতিবাজদের নির্বাচিত না করার আহ্বান দুদক চেয়ারম্যানের

দুর্নীতিবাজদের নির্বাচিত না করার আহ্বান দুদক চেয়ারম্যানের

তেঁতুলিয়ায় শীতের দাপট, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

তেঁতুলিয়ায় শীতের দাপট, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App