ডাকসু নির্বাচন: রেকর্ড ভোটে বিজয়ী জুলাই আন্দোলনের আলোচিত মুখ তন্বি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ এএম

জুলাই আন্দোলনের আলোচিত মুখ সানজিদা আহমেদ তন্বি। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন জুলাই আন্দোলনের আলোচিত মুখ সানজিদা আহমেদ তন্বি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭৭ ভোট।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ঘোষিত ফলে দেখা যায়, ভিপি পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) সর্বমোট ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পান ৫ হাজার ৬৫৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পান ৩ হাজার ৩৮৯ এবং শামীম হোসেন পান ৩ হাজার ৬৮১ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী তানভীর বারী হামীম পান ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু পান ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের আবু বাকের মজুমদার পান ২ হাজার ১৩১ ভোট।
সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয়ী হন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মহিউদ্দীন খান। তিনি পান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পান ৫ হাজার ৬৪ ভোট।
আরো পড়ুন : ডাকসু নির্বাচন : শিবিরের সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস
তবে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেননি কয়েকজন প্রার্থী। আবিদুল ইসলাম খান ও উমামা ফাতেমা ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। আব্দুল কাদেরও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। জগন্নাথ হল ছাড়া সব হলে বড় ব্যবধানে জয় পান সাদিক কায়েম। ওই হলে তিনি পান মাত্র ১০ ভোট, আর আবিদুল ইসলাম খান পান ১ হাজার ২৭৬ ভোট।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ চলে। এবারের মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন, যার মধ্যে ১৮ হাজার ৯৫৯ জন ছাত্রী ও ২০ হাজার ৯১৫ জন ছাত্র।
ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এছাড়া প্রতিটি হলে ১৩টি করে ১৮টি হলে ২৩৪টি পদে ভোটগ্রহণ হয়। সব মিলিয়ে ভোটযুদ্ধে অংশ নেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। ফলে শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে হয় মোট ৪১টি পদের জন্য।