জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে ১ হাজার ৫৩৪ জন পুলিশ সদস্য। এছাড়া গোয়েন্দা পুলিশ, এপিবিএন এবং সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও দায়িত্ব পালন করছে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, ট্রাফিক অ্যান্ড অপস) আরাফাতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মুরাদ চত্বর, মীর মোশাররফ হল, পুরাতন প্রশাসনিক ভবন, ডেইরি গেট ও প্রান্তিক গেটসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের কড়া অবস্থান রয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অস্থায়ী দোকান ও ক্যাম্পাসের প্রবেশ পথ বন্ধ রাখা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে রাখা হয়েছে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আরো পড়ুন : জাকসু নির্বাচন : হল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আটক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনায় ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর পর্যন্ত অধিকাংশ গেট বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের ভাসমান দোকান, টারজান পয়েন্ট, প্রধান গেট ও মুরাদ চত্বর-সংলগ্ন দোকান ১১ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আবাসিক হলের ভেতরের ক্যান্টিন খোলা থাকবে এবং পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

জরুরি সেবা ছাড়া অন্য কোনো মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং নির্বাচন কমিশনের স্টিকারযুক্ত গাড়ি প্রবেশ করতে পারছে। স্টাফ বাসগুলো প্রান্তিক গেট দিয়ে প্রবেশ করছে।

এবারের জাকসু নির্বাচনে ২৫টি পদে ১৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ভিপি পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন লড়ছেন।