রাজধানীর বারিধারায় হু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তিন মাসব্যাপী ‘সুফী ইয়োগা ফাউন্ডেশন কোর্স’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে ফাউন্ডেশনের নিজস্ব কেন্দ্রে এক সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কোর্স সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অন্বেষা আচার্য। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থী, অতিথি ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে প্রচলিত বিভিন্ন ধ্যান পদ্ধতির পরিচিতি ও এর তুলনামূলক আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ধ্যান গবেষক ড. জহির বিশ্বাস। তিনি বলেন, মন এক প্রকার চৌম্বকীয় শক্তি ধারণ করে, যার মাধ্যমে একজন মানুষ তার আকাঙ্ক্ষার সবকিছু অর্জনে সক্ষম হতে পারে। তিনি মনোদৈহিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ধ্যানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত ধ্যান শিক্ষক ও ট্রান্সসেন্ডেন্টাল মেডিটেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান তরিক রহমান তার বক্তব্যে ধ্যান কীভাবে মানুষের দেহ, মন ও সত্তাকে প্রভাবিত ও উৎকর্ষিত করে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, দেহ হলো হার্ডওয়্যার, আর মানুষের মন এবং চেতনা হলো সফটওয়্যার। একজন মানুষ তার চিন্তার ভিন্নতা ও গঠনশৈলী অনুযায়ী সম্পূর্ণ রোগমুক্ত ও উন্নত জীবনযাপন করতে পারে। কারণ মানুষের অধিকাংশ দীর্ঘস্থায়ী রোগ মানসিক পর্যায় বা সফটওয়্যার লেভেল থেকেই শুরু হয়। তার মতে, মেডিটেশন, ধ্যান বা সুফী মুরাকাবা মানুষকে প্রাণবন্ত, রোগমুক্ত এবং সফল জীবন যাপনে সহায়তা করে।

‘হু সূফীযোগ: শাস্ত্রীয় যোগ দর্শন ও পদ্ধতি এবং যোগে সূফীবাদী কৌশল অন্তর্ভুক্তিকরণের কারণ ও কৌশল’ বিষয়ে আলোচনা করেন হু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও যোগাচার্য মুহাম্মদ কামরান। তিনি বলেন, আধ্যাত্মিকতার পথে যোগানুশীলন একটি গতিবর্ধক পদ্ধতি। যোগ পদ্ধতির সাথে সূফী জিকিরের কৌশল যুক্ত হলে এই গতি আরও বৃদ্ধি পায়। তাই সূফীযোগ চর্চাকারীদের জন্য আধ্যাত্মিকতার এক অনন্য দ্বার উন্মোচন করতে পারে।

আলোচনা পর্ব শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন। সবশেষে, শিক্ষার্থীরা সুফীযোগ শিখন-শিক্ষণ বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ব্যক্ত করেন।