সোহাগ হত্যা: নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রধান আসামি নান্নু গ্রেপ্তার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৫ এএম

সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেপ্তার। ছবি : সংগৃহীত
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় অন্যতম প্রধান আসামি নান্নুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১। সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, মামলার অন্যতম প্রধান আসামি নান্নুকে ধরতে রাজধানী ও আশপাশের জেলায় অভিযান চালানো হয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের একটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বুধবার রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল চত্বরে ব্যস্ত সড়কের পাশে প্রকাশ্যে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কয়েক যুবক সোহাগকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের সামনের সড়কে তাকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীর থেঁতলে হত্যা করা হয়। এ সময় সোহাগকে বিবস্ত্র করে তার শরীরের ওপর লাফিয়ে নির্মমতা চালায় হামলাকারীরা।
আরো পড়ুন : সোহাগ হত্যা: দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস আসিফ নজরুলের
সোহাগ হত্যার নৃশংস ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
নিহত সোহাগ পুরোনো তামার তার, অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ ভাঙারি পণ্যের ব্যবসা করতেন। পরিবারের দাবি, একসময় তিনি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। রেখে গেছেন স্ত্রী, ১৪ বছরের মেয়ে সোহানা (ষষ্ঠ শ্রেণি) এবং ১১ বছরের ছেলে সোহান (চতুর্থ শ্রেণি)।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন বৃহস্পতিবার নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, সোহাগ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে চাঁদাবাজি ও এলাকায় প্রভাব বিস্তারের দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান তারা।