৫০ টাকার নিচে সবজি নেই বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আগের সপ্তাহের চেয়ে বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে বেশিরভাগই ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের দাম সামান্য কমলেও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দর। কিন্তু বাড়েনি পেঁয়াজের মূল্য। কাঁচামরিচের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, পল্টন ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
চলতি সপ্তাহে এসব বাজারে বেশিরভাগ সবজিই আগের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে বিকোচ্ছে। মাছের দরও কমেছে প্রায় ২০ টাকা। এদিন প্রতি কেজি পটল, করলা, ঢেঁড়স, ধুন্দল, বরবটি ও লাউ পাওয়া যাচ্ছে ৬০ টাকার ভেতরে। চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে আরও কমে ৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে সবজিগুলো কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের।
এছাড়া দর কমেছে ভারত থেকে আসা গাজর ও টমেটোর। কেজিতে আগে কিনতে হয়েছে ১৫০ টাকায়। এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে নিতে পারছেন। তবে এখনও মূল্য হ্রাস পায়নি কাঁচামরিচের। আগের দর ২০০ টাকা কেজিতেই বিক্রি হচ্ছে। মৌসুমের আগে বাজারে আসা শিমের দাম অন্তত ৮০ টাকা কমেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা রুমন আলি বলেন, সবজির দাম এই সপ্তাহে কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে। তবে ৩০-৪০ টাকা হলে ভালো হয়। আমাদের আয় কম, সে তুলনায় ব্যয় বেশি। ফলে সবজির দর যত কম হয়, তত ভালো।
বাজারে আলুর দর স্থির আছে। ক্রেতারা এখনও ২০ টাকা কেজিতে কিনতে পারছেন। পেঁয়াজের মূল্যও স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়।
বিক্রেতা রহমান মিয়া বলেন, গত চার-পাঁচ দিনে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪-৫ টাকা। আপাতত বাড়ার আশঙ্কা নেই।
আদার দর এখনও বেশি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। রসুনের দরও উচ্চ। কেজিপ্রতি ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আর ক্রেতারা দেশি রসুন কিনছেন ১২০ টাকায়।
বাজারে কমেছে মাছের দাম। এতে ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। বাজারে প্রতি কেজি চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়। তেলাপিয়া বিকোচ্ছে ২২০ টাকায়। আকারভেদে কেজিতে পাবদা ২৫০ থেকে ৪০০ টাকায় মিলছে। কেজি আকারের রুই ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি পাঙাস বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।
বিক্রেতা সিয়াম হোসাইন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দর কমেছে। সব মাছই আগের চেয়ে ২০-৩০ টাকা কমে পাবেন। তবে ইলিশের কথা ভিন্ন। সেটা সরবরাহ আর চাহিদার ওপরে নির্ভর করে।
বাজারে বেড়েছে ব্রয়লারের দর। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। আগের সপ্তাহের চেয়ে যা ২০ টাকা বেশি। পাকিস্তানি সোনালির দাম ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। হাইব্রিড সোনালি কিনছেন ২৮০ টাকায়।
বিক্রেতা আহসান হাবিব বলেন, তিনদিন ধরে ব্রয়লারের দাম ১০ টাকা বাড়তি। এখন উৎপাদন কমেছে। তাই সরবরাহ কমেছে। ফলে দর ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের দাম। প্রতি হালি লাল ডিম পাওয়া যাচ্ছে ৪৫ টাকায়। সাদা ডিম ৪২ টাকায়। আর হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা হালিতে।
চালের বাজারে কোনও পরিবর্তন আসেনি। স্বর্ণা ও পাইজাম পাইকারিতে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রি-২৮ হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা দরে। কুদ্দুস আলি বলেন, গত এক মাসে নতুন করে চালের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের মতোই আছে।
বাজারে স্থির রয়েছে গরুর মাংস ও খাসির মাংসের দামও। প্রতি কেজি গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে ৭৮০ টাকা দরে। আর খাসির মাংস ১১৫০ টাকায়।