তিন দাবিতে তাঁতীবাজার অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ পিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দাবিতে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার সময় পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির ডাক দেন।
শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো- ‘স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে ২য় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল ), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সকল অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা- এই মুহুর্তে দরকার, সেনাবাহিনী ঠিকাদার; দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আবাসন, কবে দিবা প্রশাসন; দ্বিতীয় ক্যাম্পাস চাই, শিক্ষার গতি বাড়ায়; এক দুই তিন চার ক্যাম্পাস আমার অধিকার, সব শালারা বাটপার আর্মি হবে ঠিকাদার’ স্লোগান দেন।
আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আমাদের নৈতিক অধিকার। আমাদের হল নাই ক্যাম্পাস নাই। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনছি শুধু ক্যাম্পাস হচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, প্রশাসন কাজে গড়িমসি করে। যেখানে এক থেকে দুই বছরে একটা পূর্ণাঙ্গ কাজ হয়ে যায়, সেখানে বছরের পর বছর কাজ চলে কিন্তু শেষ হয় না। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে কাজের অগ্রগতি থাকে না। সেনাবাহিনীর কাছে এই ক্যাম্পাসের কাজ অতিদ্রুত হস্তান্তর করে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌসিফ মাহমুদ সোহান বলেন, আজকের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো।
এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যানজটে আটকা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। এ সময় গাড়ি রেখে তিনি হেঁটে যান। উপাচার্য বলেন, এটা এমন না যে বললেই কাজটা হয়ে যাবে। এটা দীর্ঘ প্রসেস, সময় লাগবে।
পরে আধা ঘণ্টা রাস্তা অবরোধের পর পুনরায় মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে এসে উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকা হলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখা্যন করে স্লোগান দিতে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী অপু বলেন, আমরা কনফারেন্স রুমে এসির বাতাস খেতে বসব না, আমাদের সঙ্গে বসতে হলে রাজপথে আসতে হবে, প্রয়োজনে শান্ত চত্বরে বসতে হবে।
আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, আমাদের দাবি মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নয়। আজকের মধ্যে তিন দফা দাবি মানা না হলে আগামীকাল শান্ত চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় জড়ো হয়ে তাঁতীবাজার অবরোধ করা হবে।