জেসিকার গর্ভের অবৈধ সন্তান আমিরের! ডিএনএ পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ ভাইয়ের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম

সন্তান কোলে জেসিকা হাইন্স (বামে) ও আমির খান (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
বলিউড অভিনেতা আমির খানের সঙ্গে যতটা মধুর তার দুই বোনের সম্পর্ক, ঠিক ততটাই তিক্ত ভাই ফয়সাল খানের। একসময় পারিবারিক সম্পত্তির ভাগাভাগির জেরে বিতণ্ডা তৈরি হয়েছিল তাদের মধ্যে। বলিউডের অন্দরের খবর, শুধু আমির নন, পরিবারের কারও সঙ্গেই নাকি সদ্ভাব নেই ফয়সালের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমিরের বিরুদ্ধে গুরুতর এক অভিযোগ এনেছেন তিনি। তার বক্তব্য অনুযায়ী, রিনা দত্তের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকাকালীনই এক বিদেশি সাংবাদিক জেসিকার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন আমির। শুধু তাই নয়, তাদের নাকি এক অবৈধ সন্তানও রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও এতদিন এ বিষয়ে আমির বা জেসিকা কেউই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।
ফয়সাল খানের বিস্ফোরক দাবি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে বলিউড মহলে। ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখিকা জেসিকা হাইন্স, যিনি নব্বয়ের দশকের শেষ দিকে অমিতাভ বচ্চনের জীবনী লেখার কাজে ভারতে এসেছিলেন, তার সঙ্গে নাকি আমিরের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল। ফয়সালের অভিযোগ— সেই সম্পর্কই গড়ায় বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্কে এবং একটি সন্তানের জন্মেও! তার বক্তব্য, সাহস থাকে তো আমির ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখাক।
ফয়সালের কথায়, আমির রিনাকে বিয়ে করেছিলেন, পরে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তারপর জেসিকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তাদের একটি ‘সন্তান’ও হয়। ততদিনে কিরণের (রাও) সঙ্গে একত্রবাস করা শুরু করে দিয়েছেন আমির। কেবল তাই নয়, তিনি এবার জোর গলায় বললেন, সবাই জানে আমিরের জেসিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এবং তাদের একটি সন্তানও আছে। এটা ডিএনএ টেস্ট করলে প্রমাণিত হবে। আমি যা বলছি তার সব প্রমাণ আমার কাছে আছে। আমি কিছু বানিয়ে বলছি না।
আমিরের ভাবমূর্তি নিয়েও কটাক্ষ করেন ফয়সাল। তার দাবি—আমির সবসময় দর্শকের সামনে পরিষ্কার, নিখুঁত ইমেজ তুলে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাস্তবটা একেবারেই অন্যরকম। এত নারীর সঙ্গে সম্পর্ক, এত কিছুর পরও তিনি নিজের ইমেজ ‘হোয়াইটওয়াশ’ করতে চান।
আমিরের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তার ভাই বলেন, আমির যখন রিনার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে ছিলেন, তখন আমি পাশে ছিলাম। ওদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়, আর আমির নিজের কাজে ডুবে যান। ওই সময়ে আমিও নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সংগ্রাম চালাচ্ছিলাম।
প্রসঙ্গত, আমির ও রিনা দত্তর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল ২০০২ সালে। তারপরই শুরু হয় তার জীবনের নতুন অধ্যায়— কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সংসার। কিন্তু ফয়সালের এই বিস্ফোরক অভিযোগে আবারও প্রশ্ন উঠল—আমির ও জেসিকা অধ্যায় কি সত্যিই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল? নাকি ফয়সালের অভিযোগ শুধুই ব্যক্তিগত আক্রোশ? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে বলিপাড়ার অলিতে-গলিতে।