ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে ‘পুরুষ’ হিসেবে অভিহিত, হলো মামলা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৯ এএম

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং তাঁর স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ। ছবি : সংগৃহীত
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁকে ‘পুরুষ’ হিসেবে অভিহিত করায় এবার আইনি বিপাকে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার ক্যানডেস ওয়েন্স।
গত বুধবার (২৪ জুলাই) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রীর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যে এই মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী টম ক্লেয়ার।
ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাবশালী এই মার্কিন ইনফ্লুয়েন্সার এর আগেও একাধিকবার ভিডিও ও পোস্টে দাবি করেছেন, ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মূলত একজন পুরুষ। এমন অভিযোগের ফলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পরিবার বারবার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছিলেন।
আরো পড়ুন : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় হুমকিতে ইউরোপ: ম্যাক্রোঁ
আইনজীবী টম ক্লেয়ার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রথমে নোটিশ পাঠিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সাড়া না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত মামলার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ একজন নারী হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছেন, নারী হিসেবে বেড়ে উঠেছেন এবং সবসময় নারী হিসেবেই পরিচিত। এ ধরনের ভিত্তিহীন দাবি সরাসরি তার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আইনজীবী আরো জানিয়েছেন, এ অপপ্রচার বন্ধ না হলে ক্যানডেস ওয়েন্সের বিরুদ্ধে ‘উল্লেখযোগ্য’ ক্ষতিপূরণ দাবি করা হবে।
ক্যানডেস ওয়েন্সের ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় ৪৫ লাখ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। নানা বিতর্কিত বক্তব্য, রাজনৈতিক মন্তব্য আর উসকানিমূলক পোস্টের কারণে তিনি প্রায়ই আলোচনায় থাকেন।
উল্লেখ্য, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ ২০০৭ সাল থেকে বিবাহিত দম্পতি। ২০১৭ সাল থেকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। স্ত্রী ব্রিজিতও তার রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিয়মিত সঙ্গী।