খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ-জেএসএস গোলাগুলি: নিহত ৪

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নাড়াইছড়ি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-এর দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দীঘিনালা থানার ওসি মো. জাকারিয়া গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলার সিন্ধু কারবারিপাড়া এলাকায় ইউপিডিএফ (প্রসিত) শাখার সামরিক কমান্ডার বিপ্লব চাকমার নেতৃত্বাধীন ৪০-৪৫ জনের একটি দলের সঙ্গে জেএসএস (সন্তু) শাখার সামরিক কমান্ডার জয়দেব চাকমার নেতৃত্বাধীন ৩৫-৪০ জনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলিবিনিময়ে ইউপিডিএফের সামরিক শাখা ‘গণমুক্তি ফৌজ’-এর চার সদস্য নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে।
তবে এখনো নিহতদের পরিচয় বিস্তারিত জানাতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান ওসি জাকারিয়া।
আরো পড়ুন : আমরা রাতের আঁধারে কিছু করতে চাই না : সিইসি
এদিকে ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফ। এক বিবৃতিতে সংগঠনটির খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা দাবি করেছেন, এই ধরনের কোনো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি এবং ইউপিডিএফের ‘গণমুক্তি ফৌজ’ বা ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ নামে কোনো সামরিক শাখা নেই। ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে সশস্ত্র রাজনীতিকে সমর্থন করে না।
তিনি অভিযোগ করেন, ভাইবোনছড়ায় ত্রিপুরা কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পর জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)-এর নেতৃত্বাধীন জেএসএস থেকে ভেঙে প্রসিত বিকাশ খিসার নেতৃত্বে ইউপিডিএফ গঠিত হয়। এরপর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের দাবি। ২০১৬ সালে দুই পক্ষের মধ্যে অলিখিত সমঝোতার ফলে সংঘাত কিছুটা কমলেও পরে জেএসএস (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) নামে নতুন বিভক্তি পরিস্থিতি আবারও জটিল করে তোলে।