অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর ফিনল্যান্ড, আতঙ্কে অনেকে
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে নর্ডিক দেশ ফিনল্যান্ড। সরকারের এমন নীতির কারণে দেশে প্রত্যাবাসনের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, আর এতে আতঙ্কে পড়েছেন নথিবিহীন ও অনিয়মিত অভিবাসীরা। তাদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হলে জীবনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
রাজধানী হেলসিঙ্কির ‘হাউস অব দ্য হোপ’ নামের ডে সেন্টারে এসব নথিবিহীন অভিবাসীরা আইনি সহায়তা, চিকিৎসা এবং প্রতিদিন দুপুরের খাবার পেয়ে থাকেন। খ্রিস্টান একটি বেসরকারি সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় পরিচালিত এই কেন্দ্রটি মূলত যেসব আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন নাকচ হয়েছে এবং যারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ফিনল্যান্ডে আছেন, তাদের সহায়তা দেয়।
মরক্কোর ৫০ বছর বয়সী এক নারী অভিবাসী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, আমার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমি মরক্কোতে ফিরে যেতে পারি না। আমার সাবেক স্বামী যদি জানতে পারেন, তাহলে সে আমাকে ক্ষতি করতে পারে।
আরো পড়ুন : ল্যুভর থেকে চুরি যাওয়া অলংকারের বাজারমূল্য কত?
২০২৪ সালের শুরুর দিকে সমাজকর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকরির সন্ধানে ফিনল্যান্ডে আসেন তিনি। কিন্তু ৯০ দিনের মধ্যে চাকরি না পেয়ে এখন ফেরার নির্দেশ পেয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। ফিনল্যান্ডের আইনে তৃতীয় দেশের নাগরিকেরা রেসিডেন্স পারমিট ছাড়া সর্বোচ্চ ৯০ দিন অবস্থান করতে পারেন। নথিবিহীন অবস্থায় তারা চাকরির আবেদনও করতে পারেন না; আবেদন করতে হলে নিজ দেশে ফিরে যেতে হয়।
‘হাউস অব দ্য হোপ’-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আনে হামাদা জানান, ২০২৩ সালে ডানপন্থি সরকার ক্ষমতায় আসার পর অভিবাসন আইন আরো কঠোর করা হয়েছে। এতে নথিবিহীন অভিবাসীদের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ বাড়ছে।
ফিনিশ পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই হাজার ৭০ জন আশ্রয়প্রার্থীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে—যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।
পুলিশের চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ইয়ানে লেপসু বলেন, বিদেশিদের থাকার অধিকার নিবিড়ভাবে যাচাই করা হচ্ছে। কেউ যদি বৈধভাবে থাকার যোগ্য না হন, তাহলে তাকে ফিনল্যান্ড ও শেঙ্গেনভুক্ত অঞ্চল থেকে ফেরত পাঠানো হবে।
যদিও ফিনল্যান্ডে ঠিক কত অনিবন্ধিত অভিবাসী রয়েছেন তা নিশ্চিত নয়, তবে ধারণা করা হয় তাদের সংখ্যা সাড়ে তিন থেকে পাঁচ হাজারের মধ্যে।
