![]() |
মালয়েশিয়া সফরে ড. ইউনূস
প্রতিরক্ষা চুক্তিসহ নতুন বাণিজ্য-সমঝোতার সম্ভাবনা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩২ এএম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
আগামী আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১১-১৩ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরটি অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সফরটিকে ঘিরে ঢাকার কূটনৈতিক মহলে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে, কারণ এই সফরে প্রতিরক্ষা খাতে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং তিন থেকে চারটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর হবে একটি পূর্ণাঙ্গ দ্বিপক্ষীয় সফর। আশা করছি, এটি দু’দেশের জন্যই ফলপ্রসূ হবে।
জানা গেছে, সফরের মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, রোহিঙ্গা সংকট, আসিয়ান ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহযোগিতা বৃদ্ধি, কৃষি, হালাল অর্থনীতি, সুনীল অর্থনীতি এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন।
আরো পড়ুন : রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত সৎ অফিসাররাই পদোন্নতির যোগ্য : ড. ইউনূস
ঢাকার এক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা সহযোগিতার পাশাপাশি সেমিকন্ডাক্টর শিল্প, ফরেন সার্ভিস একাডেমি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে আলোচনায় থাকা জ্বালানি খাতের সমঝোতা স্মারকটি এবার না-ও হতে পারে।
সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, মূলত জুলাই মাসে এই সফর হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার ব্যস্ততার কারণে তা স্থগিত করা হয়। তিনি বলেন, এটি হবে একটি পূর্ণাঙ্গ দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফর। আনুষ্ঠানিক বৈঠকে দুই সরকারপ্রধান নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। সব প্রস্তুতি এখনো চলমান।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বর্তমানে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি আরো সম্প্রসারণের জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এটি হতে যাচ্ছে তার একাদশ বিদেশ সফর। এর আগে তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশন, আজারবাইজানে কপ-২৯ সম্মেলন, মিশরে ডি-৮ সম্মেলন, দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, চীন, থাইল্যান্ড, কাতার, ভ্যাটিকান সিটি, জাপান এবং সর্বশেষ যুক্তরাজ্য সফর করেছেন। তবে যুক্তরাজ্য সফরে তার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠক হয়নি।
মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করতে ২০২৪ সালের অক্টোবরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ঢাকায় আসেন, যা ছিল অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম উচ্চপর্যায়ের বিদেশি সরকারপ্রধানের সফর।
সূত্র বলছে, মালয়েশিয়া সফরের পর ড. ইউনূসের ইন্দোনেশিয়া সফরের কথাও ভাবা হচ্ছে, তবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়।