×

ইতিহাস ও ঐতিহ্য

কুয়াশার মধ্যে জন্ম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২১, ০৯:৩০ এএম

পরাধীন ব্রিটিশ ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কী ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। সম্প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য-

কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ ঐক্যবদ্ধ ভারতের ক্ষমতার ভাগাভাগির জন্য একটি সাধারণ সিদ্ধান্তে পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ায় একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ দু’টুকরো হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হয়। চতুর জিন্নাহই ছিলেন ওই দ্বিজাতি তত্ত্বের উদগাতা।

লক্ষ্ণৌ চুক্তির বৈশিষ্ট্য ছিল নানামাত্রিকতায়। তবে হিন্দু ও মুসলিম দুটি রাজনৈতিক সত্তা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। লক্ষ্ণৌ চুক্তি জাতীয় স্তরে এমন কিছু নীতির বিষয়ে সহমত তৈরি করে, যা কাজে লাগিয়ে কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ প্রশাসন ও আইনসভায় ক্ষমতার বিভাজন করতে পারে। চুক্তি অনুসারে কংগ্রেস কেন্দ্রীয় প্রশাসনে দুই-তৃতীয়াংশ আসন পাবে, লীগ পাবে এক-তৃতীয়াংশ। কিন্তু বিশেষ ধর্মীয় বিষয় নির্দিষ্ট করা হয়েছিল, যেগুলো ওই সম্প্রদায়ের তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের সমর্থন ছাড়া পাস করানো যাবে না। মুসলিমদের পৃথক নির্বাচকমণ্ডলীকে নৈতিক স্বীকৃতি দেয়া হলো, যা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেস কর্তৃক মুসলমানদের স্বতন্ত্র নির্বাচনের দাবি ও মুসলমানদের ভারতভিত্তিক সংগঠন হিসেবে মুসলিম লীগকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এই চুক্তির মাধ্যমে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ নেতারা যৌথভাবে ভারতে স্বশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপন করে। যা ১৯১৯ সালের আইন বাস্তবায়নে লক্ষ্য করা যায়। ১৯১৫ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসের বার্ষিক সম্মেলন একই সময় একই স্থানে অনুষ্ঠিত হওয়ার নিয়ম চালু থাকে।

জিন্নাহ ১৯২০ সালে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করে। মুসলিম লীগকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেন। প্রথম প্রয়াস হচ্ছে ১৯২৪ সালের ২৪ মে লাহোরে আয়োজিত মুসলিম লীগের বিশেষ অধিবেশনে মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কারের সংশোধনীসহ প্রধান পাঁচটি দাবি উত্থাপন। দাবিগুলো ছিল : পূর্ণ প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনসহ কেন্দ্রে ফেডারেল সরকার প্রতিষ্ঠা, বাংলা, পাঞ্জাব ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার স্বীকৃতি প্রদান, পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকর করা, সব সম্প্রদায়কে ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান, আইনসভায় কোনো সম্প্রদায়ের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য বিরোধিতা করলে সে সম্প্রদায় সংক্রান্ত কোনো আইন পাস করা যাবে না।

মুসলিম লীগের এসব দাবি লক্ষ্ণৌ চুক্তির বরখেলাপ। কংগ্রেস ক্ষুব্ধ হয়। তবে শীঘ্রই উভয় দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসানের সুযোগ আসে। ব্রিটিশ সরকার ১৯২৭ সালে পার্লামেন্টের ৭ জন সদস্য সমবায়ে একটি কমিশন গঠন করে। কমিশনের সভাপতি ছিলেন স্যার জন সাইমন। কমিশন একটি রিপোর্ট প্রণয়ন করে এবং ১৯৩০ সালের মে মাসে তা প্রকাশিত হয়।

রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধান ও প্রাদেশিক স্বায়ত্ত শাসনের যে প্রস্তাব ছিল আইনসভার সদস্য বৃদ্ধি এবং কমিশন মনে করে যে, সম্প্রদায়ভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব বা পৃথক নির্বাচন পদ্ধতি অভিন্ন জাতীয়তা বিকাশের পথে গুরুতর প্রতিবন্ধক। সে সত্ত্বেও ভারতে বিরাজমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কমিশন সুপারিশ করে যে, হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত মুসলমানদের জন্য বিদ্যমান পৃথক নির্বাচন বহাল থাকবে এবং প্রাদেশিক পরিষদে মুসলিম প্রতিনিধিদের অধিকাংশের সম্মতি ব্যতীত মুসলমানদের জন্য এই বিশেষ সংরক্ষণ ব্যবস্থা রহিত করা যাবে না। তার প্রতি মুসলিম লীগের সাধারণ সমর্থন ছিল। কিন্তু মুসলমানদের অন্যান্য দাবি-দাওয়া পূরণ না করায় তারা সাইমন কমিশনের সুপারিশ সামগ্রিকভাবে গ্রহণ করতে পারি।

নেহেরু রিপোর্টে মুসলমানদের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়। স্বতন্ত্র নির্বাচন ব্যবস্থা অস্বীকার করা হয়, বাংলা ও পাঞ্জাব প্রদেশে মুসলমানদের সংরক্ষিত আসন বাতিল করে দেয়া হয়, মুসলমান সংখ্যালঘিষ্ঠ প্রদেশে মাত্র দশ বছরের জন্য সংখ্যানুপাতে আসন সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়।

নেহেরু রিপোর্টটি মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য ১৯২৮ সালের ডিসেম্বর মাসে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের একটি মুসলিম লীগ প্রতিনিধি দল নেহেরু কমিটির কাছে কতকগুলো সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করে। ১. স্বতন্ত্র নির্বাচন ব্যবস্থা বহাল রাখতে হবে, ২. ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে, ৩. কেন্দ্রীয় আইনসভায় মুসলমানদের এক-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধিত্ব দিতে হবে, ৪. শাসন পরিষদে এক-তৃতীয়াংশ মুসলমান সদস্য রাখতে হবে, ৫. বাংলা, পাঞ্জাব ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠতা মানতে হবে। এসব দাবির সঙ্গে আরো দফা যোগ করে। কিন্তু জিন্নাহর সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নেহেরু কমিটি তথা কংগ্রেস প্রত্যাখ্যান করে। এভাবে নেহেরু রিপোর্টের মাধ্যমে ভারতের হিন্দু-মুসলমান মিলন চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। ১৯২৯ সালের মার্চ মাসে জিন্নাহ’র ফর্মুলা : ১. নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের যথেষ্ট এবং কার্যকর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা হবে। ২. কেন্দ্রীয় আইনসভায় মুসলমান প্রতিনিধিদের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশের কম হওয়া চলবে না। ৩. প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষকে পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা, অর্থাৎ ধর্মীয় বিশ্বাস, উপাসনা, প্রচার, মেলামেশা এবং শিক্ষার স্বাধীনতা দেয়া হবে। ৪. যদি কোনো আইনসভায় বা অন্য কোনো নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানে কোনো একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের তিন-চতুর্থাংশ অথবা তার বেশি প্রতিনিধি কোনো একটি বিল বা কোনো রেজুলিউশন অথবা কোনো বিল বা রেজুলিউশনের কোনো অংশ সম্বন্ধে এই মর্মে আপত্তি জানান যে বিষয়টি তাদের সম্প্রদায়ের স্বার্থের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে, তা হলে হয় সেই বিল বা রেজুলিউশন বা তার আপত্তিজনক অংশটিকে পাস করা যাবে না, অথবা এই সমস্যাটি তৈরি না করে কাজ করা সম্ভব, এমন কোনো বিকল্প খুঁজে বার করতে হবে। ৫. বম্বে প্রেসিডেন্সি থেকে সিন্ধুপ্রদেশকে বাদ দিতে হবে। ৬. উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ এবং বেলুচিস্তানে সমগতিতেই সংস্কার করতে হবে। ৭. সংবিধানে এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে প্রাদেশিক এবং স্থানীয় স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে মুসলমানরা যথেষ্ট সুযোগ পান। তবে, তাদের চাকরির জন্য আবশ্যিক যোগ্যতার শর্তটির পূরণ করতে হবে। ৮. মুসলমান সংস্কৃতিকে রক্ষা করা মুসলমানদের শিক্ষা, ভাষা, ধর্ম, পার্সোনাল ল’ এবং মুসলমান দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করা এবং তার উন্নতিসাধন এবং প্রাদেশিক ও স্থানীয় স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সাহায্যে মুসলমানরা তাদের যথার্থ ভাগ পান। ৯. অন্তত এক-তৃতীয়াংশ মুসলমান সদস্য না রেখে কেন্দ্রীয় বা প্রাদেশিক স্তরে কোনো মন্ত্রিসভা গঠন করা যাবে না। ১০. কেন্দ্রীয় আইনসভা সংবিধানে এমন কোনো পরিবর্তন করতে পারবে না যেখানে প্রদেশের অভিমত গ্রাহ্য করা হয়নি। সেপ্টেম্বরের শেষে যখন জিন্নাহ গোঁ ধরে আছে যে তার চৌদ্দ দফা সূত্র পুরোটাই মেনে নিতে হবে, তখন জওহরলালের মন্তব্য, ‘জানি না, এই পথে এগোনো নরকে যাওয়ার থেকে আরো বেশি মারাত্মক হতো কিনা। আমাকে যদি প্রিয় বন্ধু মহম্মদ আলী জিন্নাহর চূড়ান্ত আবোল-তাবোল সব বক্তব্য খানিকক্ষণ ধরে শুনতে হয়, তা সে যতটুকু সময়ই হোক না কেন, আমি বরং ভাবব, এর থেকে দক্ষিণ সমুদ্রের কোনো দ্বীপে চলে যাওয়া বরং ভালো, যেখানে আমি আশা করতেই পারি, লোকেরা এতটাই বুদ্ধিমান, বা এমনই মূর্খ যে, চৌদ্দ দফা নিয়ে বকবক করবে না।’

সর্বদলীয় কনফারেন্সে নেহেরু রিপোর্ট গৃহীত হওয়া এবং নিজে প্রবল বিরোধিতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, ভাইসরয় ওয়ালেস লিখেছেন, ‘জিন্নাহ তার জাতীয়তাবাদী অবস্থান থেকে সরলেন না, এবং কী করে হিন্দু এবং মুসলিম দুই সম্প্রদায়কে একটি সাধারণ রাজনৈতিক লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই স্বপ্নেই মগ্ন থাকলেন।’ গোটা ১৯২৮জুড়েই তার এই দুই সম্প্রদায়কে কাছাকাছি নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চলল। গাঁধির মতো, এবং নেহেরুর উল্টো পথে, জিন্নাহও মনে করতেন যে, হিন্দু-মুসলিম প্রশ্নটি একটি ‘জাতীয় সমস্যা নিছকই সাম্প্রদায়িক কাজিয়া নয়।’

পাকিস্তান নামক ধারণাটি প্রথম থেকেই যুক্তির বাইরে। আস্তে আস্তে তা হয়ে উঠল মুসলিম জাগৃতির তীব্র অনুভূতি। আর উজ্জীবিত মানসিকতা ধরে রাখতে সরাসরি পাকিস্তানের সীমানার অবয়ব দেখা গেল না, তা রেখে দেয়া হলো উজ্জ্বল আদর্শের এক মহান চিন্তা হিসেবে।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রচিত্র ঠিক কী রকম হবে কিংবা ভৌগোলিকভাবে পাকিস্তানের সীমা-পরিসীমা কী হবে তা লীগ প্রকাশ করেনি। ‘হয়তো তারা নিজেরাও তা জানত না। তবে জানত যেভাবেই পাকিস্তানের সীমা আঁকা হোক না কেন, ভারতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কয়েক লক্ষ মুসলিম ঠিকই তার বাইরে রয়ে যাবেন।’ লীগ নেতারা জানতেন, ‘একবার পাকিস্তানের সীমা নির্দেশ হয়ে গেলেই লক্ষ লক্ষ মুসলিম জনসাধারণের কাছে আর সেই প্রস্তাবের আকর্ষণ থাকবে না। তারা জেনে যাবেন, তাদের বাদ ফেলে তৈরি হচ্ছে ওই রাষ্ট্র।

বস্তুত ১৯৪১ সালের ১৬ এপ্রিল রাজেন্দ্রপ্রসাদ লীগ সভাপতিকে পাকিস্তান প্রস্তাবটি সুস্পষ্ট ভাষায় ব্যাখ্যা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওই স্পষ্ট প্রাঞ্জল ব্যাখ্যা হাতে পেলেই কংগ্রেস পাকিস্তান নিয়ে আলোচনা করবে, বলেছিলেন রাজেন্দ্রপ্রসাদ। কিন্তু জিন্নাহ সেই আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিলেন। তার যুক্তি, কংগ্রেস আগে ভারত ভাগের প্রস্তাবে ‘নীতিগতভাবে রাজি’ হোক। তারপর এসব নিয়ে আলোচনা করা যাবে।

‘লীগের এই দুর্বোধ্যতাকেই তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করেছে ব্রিটিশরা। ক্ষমতায় যতদিন থাকার সম্ভাবনা ছিল, ততদিন ব্রিটিশরা সরাসরি পাকিস্তান দাবির সঙ্গে নিজেকে জড়ায়নি, কিন্তু পেছন থেকে মদত দিয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে রোখার জন্যই লীগের পাকিস্তান জুজুকে ব্যবহার করেছে ব্রিটিশ শক্তি।’

“ব্রিটিশের দুর্বলতা বুঝে শাইলকের মতো তারাও এবার নিজেদের ভাগের মাংসখণ্ডের জন্য চাপ দিতে শুরু করল। কিন্তু ব্রিটিশরা তখনো এই দাবির কাছে নতি স্বীকার করেনি। নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতেই লীগের ব্রিটিশ সমর্থন দরকার ছিল। আবার সাম্রাজ্যবাদী শক্তিরও লীগকে দরকার ছিল। ফলে, দুই তরফের গোপন আঁতাত ঠিক বজায় থেকেছে, শেষ অবধি ভারতীয় মানচিত্রে কাটাছেঁড়া করেই পাকিস্তান তৈরি হয়েছে।”

কুয়াশার মধ্যে জিন্নাহ পথ খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। তিনি বুঝতে পারলেন, সর্বভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি পাল্টাপাল্টি করে এগোতে পারবেন না। তিনি ভারতের জাতীয়তাবাদকে পরিত্যাগ করে মুসলিম সাম্প্রদায়িক জাতীয়তার দিকে হাত বাড়ালেন।

লাহোরে ১৯৩৬ সনের ২ মার্চ একটি জনসভায় বললেন, “আমি মুসলমানদের চটিয়েছিলাম। হিন্দু বন্ধুরাও ‘বিখ্যাত’ চৌদ্দ দফার ফলে খুশি হয়নি। রাজন্যবর্গের লুকোনো, অসৎ ক্রিয়াকলাপের প্রবল বিরোধিতা করেছিলাম, ফলে তারাও খেপে গিয়েছিলেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও আমার ওপর খুশি হয়নি, কারণ আমি গোড়া থেকেই জানতাম, বলেছিলাম যে ওরা অত্যন্ত ধাপ্পাবাজ, ফলে এদের বিরুদ্ধে আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলাম। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেখলাম যে, আমার চারপাশে কোনো বন্ধু নেই।”

এই শূন্যতা তার জেদি মনে চাপ সৃষ্টি করে। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, বিভক্ত মুসলিম লীগ দলগুলোকে একত্র করবেন। এক্ষেত্রে তিনি সফলতার পথে অগ্রসর হলেন। একপর্যায়ে তিনি মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন।

আগামীকাল প্রকাশিত হবে ‘রাজনৈতিক দাবা খেলা’ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এ ছাড়া সংগ্রহ করা যাবে নযড়ৎবৎশধমড়লঢ়ৎড়শধংযধহ.পড়স থেকেও।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র উত্তরণের যাত্রাপথকে সংকটে ফেলতে পারে: তারেক রহমান

সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র উত্তরণের যাত্রাপথকে সংকটে ফেলতে পারে: তারেক রহমান

কুমিল্লায় বিএনপি-এনসিপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১০

কুমিল্লায় বিএনপি-এনসিপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১০

যে কারণে ফুটবল ম্যাচ হয় ৯০ মিনিটের

যে কারণে ফুটবল ম্যাচ হয় ৯০ মিনিটের

৩৯টি সংসদীয় আসনে সীমানা পরিবর্তনের খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন

৩৯টি সংসদীয় আসনে সীমানা পরিবর্তনের খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App