'৭১ মিডিয়া আইকনিক অ্যাওয়ার্ড-২০২৫'
বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত লেখক রিফাত মাহবুব সাকিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
রূপালী বিকালে জমকালো আয়োজনে সোনালী আলোক সজ্জায় সজ্জিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় ৭১ মিডিয়া ভিশনের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পদার্পণ উপলক্ষে পালিত হলো ʼ৭১ মিডিয়া আইকনিক অ্যাওয়ার্ড এবং কালচারাল প্রোগ্রাম -২০২৫’। ৭১ মিডিয়া ভিশন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। চলচ্চিত্র শিল্পকলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ডোকো ফিল্ম মেকার ক্যাটাগরিতে বিশেষ সম্মাননা ও পদক গ্রহণ করেন বিশিষ্ট ব্যাংকার লেখক গবেষক, ফিল্ম মেকার ও সমাজ সংস্কারক রিফাত মাহবুব সাকিব।
রাজধানীর মালিবাগ এলাকা স্কাই সিটি (৪ স্টার) হোটেলে আয়োজিত হয় ‘৭১ মিডিয়া আইকনিক অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ʼ। সু-মধুর কন্ঠে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ʼ৭১ মিডিয়া আইকনিক অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’। অনুষ্ঠানের স্বাগতম বক্তব্য রাখেন-আর. কে. রিপন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন বিচারপতি মো. জয়ন্ত আবেদিন (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ফলিত বিভাগ, সাবেক বিচারপতি)।
প্রধান আলোচকের বিশেষ বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. সুকুমার বড়ুয়া (বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা), চেয়ারপারসনের বিশেষ বক্তব্য রাখেন সৈয়দ মার্গুব মুর্শেদ (প্রধান উপদেষ্টা, ৭১ মিডিয়া ভিশন, সাবেক তথ্য সচিব, চেয়ারম্যান, বিটিআরসি), বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হামিদা খানম (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ), অধ্যাপক ড. রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী (সাবেক সভাপতি, জাসাস কার্যনির্বাহী কমিটি)।
বিশেষ অতিথির বিশেষ বক্তব্য রাখেন নূরুদ্দীন আহমেদ (পরিচালক, এনটিভি), মো. লিয়াকত আলী (সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় জাসাস এবং সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক ড. এম. এ. সাত্তার (অধ্যাপক, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি), বিশিষ্ট গায়ক রবি চৌধুরী, মো. হাসান একরাম আহমেদ, সিইও- ইভেন্ট সিটি)। স্বাগত বক্তা বক্তব্যে ছিলেন মনজুর হোসেন ঈসা (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ৭১ মিডিয়া ভিশন)। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনের দ্বায়িত্ব ছিলেন তানয়া আফরিন (ব্রডকাস্ট জার্নালে এবং প্রোগ্রাম উপস্থাপক, বিটিভি, এটিএন বাংলা)।
বিশিষ্ট ব্যাংকার, লেখক, গবেষক, ফিল্ম মেকার ও সমাজ সংস্কারক রিফাত মাহবুব সাকিব বলেন, বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলস্টোন স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী নিহত ও আহতের ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত ও বেদনার্ত হয়েছি। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় পুরো জাতি আজ শোকে মুহ্যমান। মর্মান্তিক এই বিমান দুর্ঘটনায় শোক জানানোর ভাষা আমি হারিয়ে ফেলেছি। নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন নিহতদের শাহাদাতের মর্যাদা এবং জান্নাতুল ফিরদৌস নসিব করেন। সেই সঙ্গে শোকার্ত পরিবারগুলোকে আল্লাহ ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন। আমি আমার খ্যাতিসম্পন্ন পদকটি মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের উৎসর্গ করলাম।
তিনি বলেন, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- যেখানে একটি শিশু, কিশোর কিংবা তরুণ তার শিক্ষা, বিকাশ ও নিরাপত্তা নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠে। সেই পরিবেশে এমন ভয়াবহতা কখনো কাম্য নয়। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। তাই আমাদের উচিত বিমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ফায়ারিং স্পট স্কুল কলেজ ও জনগণের লোকারণ্য থেকে দূরে তৈরি করতে হবে। তাহলেই জনগণ পাবে নিরাপত্তা এবং তরুণত্ব পাবে ভবিষ্যৎ। আমরা একটি শান্তি ও নিরাপদ সম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে চাই।