ইসরায়েলের বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত ইরানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।  

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসেইন কেরমানপুর বলেছেন, গত ৬৫ ঘন্টায় ইরানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৪৪ জন নিহত হয়েছেন। খবর এপির।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক পোস্টে কেরমানপুর বলেছেন, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে এবং ১ হাজার ২৭৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, হতাহতের ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। বার্তাসংস্থাটি আরো বলছে, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রতিশোধ হিসেবে ইরানও শুক্রবার থেকে ইসরায়েলের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত এবং উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফা, তেলআবিবে ও নেগেভ বিমানঘাঁটিতে আঘাত করেছে ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এতে দাউদাউ করে জ্বলছে ওই সব এলাকা।

আরো পড়ুন : আইআরজিসির গোয়েন্দাপ্রধানসহ ইরানের দুই জেনারেল নিহত

রোববার (১৫ জুন) সারা দিন হামলা অব্যাহত রেখেছে ইরান। রাতে ফের কয়েক ডজন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান।

ইসরায়েলি উদ্ধারকারী সংস্থা জাকা জানিয়েছে, সেখানকার একটি ভবন মিসাইলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আনাদোলু এজেন্সির এক ভিডিওতে শহরে বিস্ফোরণের দৃশ্য ধরা পড়ে। এতে হাইফার আকাশ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এছাড়া বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ক্যামেরায় হাইফা শহরে বিস্ফোরণের দৃশ্য ধরা পড়ে।

ইসরায়েলি জাতীয় জরুরি সেবা সংস্থা জানিয়েছে, হাইফায় ইরানের মিসাইলের আঘাতে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। তবে এখন হতাহতের সংখ্যা নিরূপণ করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি ফায়ার ও রেসকিউ সার্ভিস জানিয়েছে, একটি ভবনে সরাসরি মিসাইল আঘাত হানার খবর পেয়েছেন তারা। এটি একটি আবাসিক ভবন। উদ্ধারকারীরা এখন ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে।