বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় কমনওয়েলথ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় কমনওয়েলথ। সেজন্য কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা দেবারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সংস্থাটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল লুইস জি ফ্রানচেস্কি। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ক কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন ভবনে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেনারেল লুইস জি ফ্রানচেস্কি বলেন, আমরা সবসময় কোনো দেশে আসি শিখতে, শুনতে। আমরা সংশ্লিষ্ট দেশের চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা করে থাকি। আমরা সুপারিশ করি এবং তা বাস্তবায়নে সহায়তা করি। তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে আমাদের ভালো আলোচনা হয়েছে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে। আমাদের একটি চমৎকার দল এখানে এসেছে সংস্কারের জন্য। সংস্কার বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ কমনওয়েলথের জন্য হবে একটি সফল গল্প।
লুইস জি ফ্রানচেস্কি বলেন, ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মানুষ রয়েছে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশে, যাদের ৬০ শতাংশ হচ্ছে ৩০ বছরের। তারা সর্বদা অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি মনে করি, এটি একটি শিক্ষা হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা অন্য দেশ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে সহায়তা করতে পারি এবং বাংলাদেশও অন্য দেশকে একইভাবে সহায়তা করতে পারে। আমি মনে করি, অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনই হচ্ছে লক্ষ্য, যেখানে জনগণের মতামতের প্রতিফলন হবে। সুনির্দিষ্ট সুপারিশ আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে কমনওয়েলথের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, না, এটি আসবে সংস্কার কমিশনের কাছ থেকে। আমরা তাদের সহায়তা করতে পারি। আমরা সমস্যা সমাধানের জন্য আসিনি।
এসময় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কমনওয়েলথ ডেলিগেশন আলাপ করতে এসেছে। তারা আমাদের সহায়তা করতে আগ্রহী। আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে মতামত আদান-প্রদান হয়েছে। তারা চাচ্ছে, আমাদের দেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। এবং এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে তারা সহায়তা করতে চান। এ আগ্রহ ও উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এসেছেন। তিনি বলেন, আমরা যদি চাই, তারা সহায়তা করবে। কোনো প্রেসক্রিপশন নিয়ে তারা আসেননি। কোনো কিছু চাপিয়ে দেবার জন্য আসেনি। গতকাল সকালে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করতে কমনওয়েলথের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যায় নির্বাচন ভবনে।