উপদেষ্টা নাহিদ
শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করা হচ্ছে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ পিএম

সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকায় সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ১১তম জিএসসি ন্যাশনাল সাইন্টিস্ট ম্যানিয়া-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্রদের মধ্যে বিবাদ ও সংঘাত শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন করতে সহায়তা করছে। শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা গেলে জুলাই অভ্যুত্থানকেও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা সহজ হবে। এ সুযোগ যেন কেউ নিতে না পারে। আমরা এতদিন বিক্ষোভ করেছি, রাজপথে থেকেছি; আমাদের এখন রাষ্ট্র গঠনের সময়। আমাদের এখন মেধাকে কাজে লাগাতে হবে, সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সুফল যেন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ পায় সে কাজটি আমাদের করতে হবে। আমরা আশা করি, যে প্রত্যাশা নিয়ে সবাই আন্দোলন করেছে, রক্ত দিয়েছে; সে প্রত্যাশা আমাদের পূরণ হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়তে পারবো।
কলেজের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, আমাকে স্যার বলার দরকার নেই আমি আপনাদের ভাই। গণঅভ্যুত্থানের মতো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাব। ভুল করলে শুধরে দিবেন। যদি জাতির প্রয়োজন পড়ে আমরা আবারো রাস্তায় নামবো। তার আগ পর্যন্ত সবাইকে লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে বললেন নাহিদ ইসলাম। জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করার পাশাপাশি শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরো পড়ুন: বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জেন-জি পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে তারা আন্দোলন সংগ্রামে রক্ত দিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে পারে, তারা অলস নয়।’ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ছাত্রদের অংশগ্রহণ এবং আত্মত্যাগের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ শমশের আলী বলেন, ‘বিজ্ঞানে বাতিক না থাকলে বিজ্ঞান এগোয় না। গণআন্দোলনে আহতরা যেন আজীবন স্বাস্থ্যসেবা পায়। আন্দোলনকারীদের স্বপ্ন যেন সত্য হয়। তরুণদের সুযোগ দিলে তারা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে পরিচিত করাবে।
সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কে এম আমিনুল হক বলেন, ‘দেশ গঠনে বিজ্ঞানের বিকল্প নেই এক্ষেত্রে তরুণদের দায়িত্ব নিতে হবে। এই কলেজটি ১৯৫৪ সালের অবকাঠামোর নিয়ে চলছে যা ঝুঁকিপূর্ণ, অতিদ্রুত বহুতল ভবন নির্মাণ করার ব্যাপারে উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করছি।’
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সরকারি বিজ্ঞান কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সরকারি বিজ্ঞান কলেজের উপাধ্যক্ষ তানজিনা ফেরদৌস, নাগরিক কমিটির সদস্য সারওয়ার তুষার, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সমন্বয়ক সরকারি বিজ্ঞান কলেজের সাবেক ছাত্র তারিকুল ইসলামসহ বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রীরা।