অনুষ্ঠান চলাকালে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এসময় তিনি বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আয়োজিত ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ লংমার্চের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।

সারজিস আলম বলেন, আমি নেসকো এবং নেসকো সংশ্লিষ্ট সবাইকে হুঁশিয়ার করে বলছি, এনসিপি গত এক মাসে তিনটি কর্মসূচি করেছে, প্রতিবারই কর্মসূচির সময় বিদ্যুৎ চলে গেছে। এক-দু’দিন হলে বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখতাম, কিন্তু প্রতিবারই একই ঘটনা ঘটায় আমরা মনে করি এটি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। আপনারা রাজনৈতিক দেউলিয়া, চাটুকার ও তোষামোদকারী। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব। তাদের কলিজা কত বড় হয়েছে, প্রয়োজনে সেই কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব।

আরো পড়ুন : বৃহত্তর রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে বৈঠক, আলোচনায় ৯ দল

তিনি বলেন, আজ এখান থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, পঞ্চগড়ে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, তবে সেই প্রতিষ্ঠান এই জেলায় টিকে থাকতে পারবে না। যারা দায়িত্বে থেকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে, তারা এখনই সাবধান হোন।

সারজিস অভিযোগ করেন, যখন কেউ চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, তখনই তাদের বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি, পঞ্চগড়ের মাটিতে এসব অপরাধীদের শান্তিতে থাকতে দেওয়া হবে না। সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

তিনি বলেন, যদি কখনও আমরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাই, তবে সবাই দেখবে একটি জেলা কেমন হওয়া উচিত। এতদিন যেভাবে জনগণকে প্রতারণা ও প্রলোভনের মধ্যে রাখা হয়েছে, আমরা সেই বাস্তবতা পাল্টে দেব।

এর আগে দুপুরে পঞ্চগড় পৌর এলাকার সুগার মিল থেকে প্রায় এক হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে এ লংমার্চের উদ্বোধন করেন সারজিস আলম। লংমার্চটি সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী, চাকলাহাট, হাড়িভাসা, হাফিজাবাদ, অমরখানা, সাতমেরা, তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর, ভজনপুর, বুড়াবুড়ি, শালবাহান, তেঁতুলিয়া ও তিরনইহাট ইউনিয়ন ঘুরে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে গিয়ে শেষ হয়।

পথিমধ্যে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় প্রথম পথসভা এবং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে দ্বিতীয় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সারজিস আলম দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।