এনবিআর সদস্য মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১৯ এএম

এনবিআর সদস্য মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী সম্প্রতি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা এই দক্ষ ও বিচক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো আসলে তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার এক গভীর চক্রান্তের অংশ, যা সরকারের সাম্প্রতিক কিছু প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের পর প্রকাশ্যে আসে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার এনবিআরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়। স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্তে কিছু মহলে অসন্তোষ দেখা দেয়। তবে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে বেলাল হোসেন চৌধুরী সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করেন এবং তার কার্যক্রমে অটল থাকেন। এটিই হয়ে ওঠে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সূচনা।
এদিকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্টেটমেন্ট দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য জনাব মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরীর বিদেশ গমন প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, তার বিদেশ গমনরোধের বিষয়ে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ০২-০২-২০২৫ তারিখে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরবর্তীতে ০৯-০৯-২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, ঢাকা তাকে বিদেশ গমনের অনুমতি প্রদান করেন। একইসাথে সরকারি কাজে বিদেশ গমনের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন (জিও) জারি করা হয়েছে। অতএব, বিজ্ঞ আদালতের আদেশ এবং সরকারি প্রজ্ঞাপনের আলোকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তার বহিঃইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত “আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হয়েছে”- এই তথ্যটি সঠিক নয়।”
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনবিআর বিভাজনের পর সরকার যখন দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অবস্থান নেয়, তখন দুদক কিছু অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এবং অনেককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। এ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বেলাল হোসেন চৌধুরীর দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তার কর্মজীবনে কলঙ্ক লাগানোর চেষ্টা চালায়।
দীর্ঘদিন ধরে একটি সরকার ক্ষমতায় থাকায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের সাথে ছবি থাকা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এই স্বাভাবিক বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বেলাল হোসেন চৌধুরীর বিভিন্ন ছবি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বোঝানোর চেষ্টা চলছে যে তিনি ক্ষমতা ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েছেন। অথচ অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা।
এনবিআর কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে তাকে ‘ক্লিন’ কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিদেশ ভ্রমণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও আদালত প্রত্যাহার করে নিয়েছে, যা তার নির্দোষিতার প্রমাণ বহন করে।
সম্প্রতি সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া যাত্রার প্রেক্ষাপটে একটি অসাধু চক্র পুনরায় ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচার পূর্বপরিকল্পিত এবং তার সুনাম নষ্ট করার এক সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা।
একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ শুধু তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নয়, প্রশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। ফলে এই ষড়যন্ত্রের গভীরে প্রবেশ করে প্রকৃত অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করা অত্যন্ত জরুরি।
মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে চলমান অপপ্রচার কেবল তার ইমেজ নষ্ট করার জন্যই নয়, বরং প্রশাসনিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতাকেও আঘাত করছে। তাই সরকারের উচিত দ্রুত এই অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।