গুডবাই মাউন্টেন: সাবানের ফেনায় ঋতুপর্ণার গন্ধ খুঁজলেন ইন্দ্রনীল!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৫০ এএম

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবি : সংগৃহীত
২২ বছর আগের ফেলে আসা প্রেম কি ফেরে? যদি ফেরে তবে কিভাবে? এই প্রশ্ন নিয়েই আলোচনায় উঠে এসেছে পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্যের নতুন ছবি ‘গুডবাই মাউন্টেন’।
ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন টালিউডের খ্যাতনামা অভিনয় শিল্পী ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
সিনেমার গল্পে দেখা যায়, ২২ বছর আগে ছিন্ন হওয়া প্রেম হঠাৎ এক ফোন কলে ফিরে আসে। ছেলেটি চায়, ২২ দিনে পূরণ করতে হবে সেই না-পাওয়া দাম্পত্য। মেয়েটি শেষ পর্যন্ত সবকিছু ফেলে পাহাড়ি পথে প্রাক্তনের ডাকে সাড়া দেয়। এক ছাদের নিচে রাত-দিন, ঘুরপাক খায় পুরনো সম্পর্কের টানাপড়েন, লোভ, অপরাধবোধ আর শরীরী টান।
পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্য জানান, ‘গুডবাই মাউন্টেন’ একেবারেই কাল্পনিক গল্প হলেও, পুরনো প্রেমের বাস্তব টান মিথ্যে নয়। কারও জীবনে এমন হতে পারে, আবার না-ও পারে। তার কথায়, প্রেম ফেরে মানেই তাতে উদ্দাম অনুভূতি লুকিয়ে থাকে।
আরো পড়ুন : একাকিত্বে ভোগেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া!
নায়িকা ঋতুপর্ণা জানান, ২২ বছর পরে প্রেম ফিরলে সেটা আর একরকম থাকে না। প্রেম মুছে যায় না—মানুষের মনের ভাঁজে লুকিয়ে থাকে। তবে অনেক সময় সেই প্রেম আর কামনায় মেশে না, বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আবার সামনাসামনি দেখা হলে দুর্বলতা আসতেও পারে।
আর ইন্দ্রনীল স্পষ্ট জানালেন, সব সময় নায়কের জীবনে এভাবে পুরনো প্রেম ফেরে না। আমার বাস্তব জীবনে এর সঙ্গে কোনও মিল নেই। তবে চরিত্রে ঢুকতে ভালোই লেগেছে।
ছবিতে ঋতুপর্ণা বিবাহিত। তাঁর পুরনো প্রেম বর্তমান। তাঁর কি অপরাধবোধ হচ্ছে? উত্তর জানা নেই পরিচালক ইন্দ্রাশিসের।
ঋতুপর্ণার জানান, মেয়েটি তখন পূর্ণবয়স্ক এবং পরিণতমনস্ক। তাই অপরাধবোধে না ভুগে সাধারণত সে সংসারেই মন দেয়। ‘যা গেছে তা যাক’, এই অনুভূতি থেকে। পুরনো প্রেম তখন তার সুপ্ত বাসনা। ঋতুপর্ণার দাবি, এটা সম্পূর্ণ আমার ভাবনা। আমার মতে, হারানো ফিরলে তাকে নতুন ভাবে গ্রহণ করা শ্রেয়।