চিকিৎসক খুনে প্রতিবাদমুখর টালিউড

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

সৃজিত মৃখার্জি
কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় ‘সিটি অব জয়’খ্যাত কলকাতা। গত ৮ আগস্ট রাতে নিজ কর্মস্থলে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসক খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সরব হয়েছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রতিবাদ করছেন টলিউডের তারকারাও।
সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত লিখেছেন, ‘আর কত আঘাত পাবে পরিবারগুলো? কলেজ, হাসপাতাল কোথাও কি নিরাপত্তা নেই? এভাবে মৃত্যু? কেন? কী তার ব্যাখ্যা? হতাশ আমরা, ক্ষুব্ধ। এত অন্যায় কেন? কেন? এই নিষ্পাপ প্রাণ তো আর ফিরবে না? কী দোষ ছিল মেয়েটির? একজন ডাক্তার হারালাম। এত হিংস্রতা কেন? দম বন্ধ হয়ে আসছে।’ প্রতিবাদ জানিয়ে স্বস্তিকা মুখার্জি বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেসবুকে।
একটিতে তিনি লিখেছেন, ‘ভাষা নেই নিন্দার। এই দোষীদের অন্তত সাজা হোক। এইবার আর মেয়েটার দোষ, সে ভুলভাবে ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিল বলে তার দিকে আঙুল তুলব না। একটা হাসপাতালেও মেয়েরা নিরাপদ নয়? যাব কোথায়?’ আরেকটি স্ট্যাটাসে হুঁশিয়ারি জানিয়ে স্বস্তিকা মুখার্জি লিখেছেন, ‘আর জি করের ঘটনা নিয়ে কেউ সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি করতে এলে তাকে প্রত্যাখ্যান করা হোক। রাজনীতি, ভোট, দল সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে প্রতিবাদ হোক। মেয়ের মা, ছেলের মা, সন্তানের অভিভাবক, নিঃসন্তান সবাই নামুক।’
পরিচালক সৃজিত লিখেছেন, আমার শহর কুণ্ঠিত বড়, ক্ষমা করো তুমি মেয়ে; পুরুষ বলেই গাইছি এ গান, শুধু মার্জনা চেয়ে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। কিন্তু মৃত নারীর শরীর থেকে একাধিক ব্যক্তির সিমেন বা বীর্যের নমুনা পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন শ্রীলেখা। এক স্ট্যাটাসে এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘একের বেশি সিমেন স্যাম্পল পাওয়ার পরও অপরাধী একজন? একা কারো পক্ষে পেলভিক হাড় ভেঙে দেয়া অসম্ভব। এগুলো তদন্ত না প্রহসন। কাদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে? ছিঃ!’
কঠোর শাস্তি দাবি করে মিমি চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘এমন শাস্তি হওয়া উচিত যে, পরেরবার কেউ এমন জঘন্য অপরাধ করার আগে মেরুদণ্ডের হাড় কেঁপে উঠবে। কারো মেয়ে মারা গেছে, কারো স্বপ্ন, পরিবার অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়েছে। এর কোনো ক্ষমা নেই। আমি তোমার সঙ্গে আছি।’
শুক্রবার সকালে আর জি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের চার তলার সেমিনার রুম থেকে রহস্যজনকভাবে উদ্ধার হয় এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ। তিনি ওই হাসপাতালে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে অন কল ডিউটিতে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। পরেরদিন সেমিনার হলে উদ্ধার হয় ওই চিকিৎসকের দেহ।