×

ভিডিও

আয়াতুল্লাহ খামেনি আসলেই মুহাম্মদ (সা.)-এর বংশধর?

Icon

কামরুজ্জামান আরিফ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:২২ পিএম

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আজ শুধু ইরানের নয়, বরং মুসলিম বিশ্বে এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত। ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান, শিয়া-সুন্নি ঐক্যের ডাক এবং তার বংশপরিচয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বহু বিতর্ক ও আলোচনা রয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ এই ধর্মীয় নেতা শুধু একজন রাজনীতিক হিসেবে বিবেচনা করলে ভুল হবে। তিনি ধর্মীয় চর্চা, শাসনক্ষমতা, ইসলামবিরোধীদের বিপক্ষে শক্ত অবস্থান মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতায় পরিণত হয়েছে। 

১৯৩৯ সালের ১৭ জুলাই ইরানের মাশহাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন খামেনি। তার পিতা ছিলেন শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ সৈয়দ জাওয়াদ খামেনি। আয়তুল্লাহ খামেনি নিজেকে হোসাইনী সাইয়েদ বলে দাবি করেছেন, যার অর্থ—তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রাঃ)-এর বংশধর। যদিও আধুনিক ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এর প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। তবুও ইসলামী ঐতিহ্য ও বংশতালিকার ভিত্তিতে তার এই পরিচয় মুসলিম বিশ্বে তার ধর্মীয় গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করেছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রেডিও ফারডা ডটকম, উইকিপিডিয়াসহ বিভিন্ন সাইটের তথ্য বলছে, খামেনি পরিবার বা খামেনেই রাজবংশ হলো ইরানি আজেরি সাইয়্যিদ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। যারা নিজেদেরকে ইসলামের চতুর্থ ইমাম আলী ইবনে হুসেন জয়ন আল-আবিদিনের বংশধর বলে দাবি করে। খামেনির বংশধারা অনুসারে, তার পূর্বপুরুষদের আবাসস্থল আজারবাইজান, বর্তমান ইরান, নাজাফ, তাফরেশ ইত্যাদি অঞ্চলে ছিল।

আয়াতুল্লাহ খামেনির রাজনৈতিক উত্থান ঘটে ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন ইসলামী বিপ্লবের অন্যতম নেতা এবং বিপ্লব-পরবর্তী ইরানের প্রথম আলেম রাষ্ট্রপতি। ১৯৮৯ সালে আয়াতুল্লাহ খোমেইনির মৃত্যুর পর তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তখন থেকেই ইরানের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ক্ষমতার শীর্ষে রয়েছেন।

শুধু শিয়া সম্প্রদায় নয়, খামেনি বহুবার মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেন—শিয়া-সুন্নি বিভেদ ইসলামের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি শত্রুদের ষড়যন্ত্র। ২০১০ সালে ইসলামী ঐক্য সম্মেলনে এক ভাষণে তিনি বলেন, মুসলমানদের মধ্যে মিল ফারাকের চেয়ে অনেক বেশি, এবং সবাইকে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে হবে—এই বক্তব্যে তিনি সূরা আলে ইমরানের ১০৩ নম্বর আয়াত উল্লেখ করেন।

২০১৪ সালে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের সময় তিনি প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেন এবং বলেন, ফিলিস্তিনের মুক্তি আজ ইসলামের রক্ষার সমার্থক। তবে তার এ অবস্থান সর্বত্র সমর্থন পায়নি। সৌদি আরব, বাহরাইনসহ সুন্নি নেতৃত্বাধীন কিছু দেশ ইরানের বিরুদ্ধে শিয়া সম্প্রসারণবাদের অভিযোগ এনেছে। পাশাপাশি তার শাসনামলে বিরোধীদের দমন ও একচেটিয়া ক্ষমতার চর্চার অভিযোগও রয়েছে।

তবুও আয়াতুল্লাহ খামেনি মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে চলেছেন এবং নিজেকে কোনও সম্প্রদায়ের একক নেতা নয়, বরং পুরো মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের দাবিদার হিসেবে উপস্থাপন করতে চেয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরলো টাইগাররা

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরলো টাইগাররা

জরুরি ভিত্তিতে শতাধিক কর্মী নিচ্ছে ইউএস-বাংলার আইটি কোম্পানি

জরুরি ভিত্তিতে শতাধিক কর্মী নিচ্ছে ইউএস-বাংলার আইটি কোম্পানি

শিক্ষা-দুর্নীতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনীতি: আমি চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু…

শিক্ষা-দুর্নীতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনীতি: আমি চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু…

স্বৈরাচারমুক্তির শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না: আমিনুল হক

স্বৈরাচারমুক্তির শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না: আমিনুল হক

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App