সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ পিএম
মানবিক সাহায্য সংস্থার আই কেয়ার প্রোগ্রামের আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত স্কুল শিক্ষার্থীরা
মানবিক সাহায্য সংস্থার আই কেয়ার প্রোগ্রামের আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকার বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় বিনামূল্যে স্কুল সাইট টেস্টিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সাতারকুল এরিয়ার ৪১ নং ওয়ার্ড এর পাচঁখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মরহুম প্রফেসর এম সফিউল্লাহ ও নুরজাহান বেগমের স্বরণে তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের অর্থায়নে দিনব্যাপী এই স্কুল সাইট টেস্টিং প্রোগ্রাম বায়স্তবায়ন করা হয়।
প্রাইম ব্যাংক আই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা স্কুল সাইট টেস্টিং প্রোগ্রামে মোট ১০৩ জন শিক্ষার্থীর বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করা হয়। এসময় ৪ জনকে বিনামূল্যে চশমা বিতরণ ও ৬ জন শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইসিপির সহযোগী হাসপাতালে রেফার করা হয়। এ ছাড়াও ৩৫ জনকে ওষুধ দেওয়া হয়।
চক্ষুসেবা দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে চোখের যত্নে করণীয় বিষয়ক প্রেজেন্টেশন দেন আই কেয়ার প্রোগ্রামের প্রতিনিধিরা। এ সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করা হয়।
চক্ষুসেবা গ্রহণ করে পাচঁখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী নন্দিনী সরকার বলেন, 'আমার চোখ দিয়ে সবসময় পানি পড়তো। ডাক্তার আমার চোখ পরীক্ষা করে ড্রপ ও প্রয়োজনীয় ঔষধ দিয়েছেন।’
আই কেয়ার প্রোগ্রামের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে পাচঁখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব অতুল চন্দ্র রায় বলেন, ‘চোখ পরীক্ষার এত আধুনিক যন্ত্রপাতি দেখে ভালো লাগছে। আমার স্কুলের অনেক ছাত্র-ছাত্রী নিম্নবিত্ত পরিবারের। যাদের সামর্থ্য নেই প্রতি বছর হাসপাতালে চোখ পরীক্ষা করার। মানবিক সাহায্য সংস্থার আই কেয়ার প্রোগ্রাম ও অর্থদাতাকে আমার ও স্কুলের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
‘দারিদ্র্যের কারণে কেউ আর অন্ধ থাকবে না’ এই প্রত্যয়ে মানবিক সাহায্য সংস্থার আই কেয়ার প্রোগ্রাম ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব দূরীকরণে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মানবিক সাহায্য সংস্থার আই কেয়ার প্রোগ্রামের অন্যতম লক্ষ্য- সুবিধাবঞ্চিত মানুষের নিরাময়যোগ্য অন্ধত্ব বিনামূল্যে শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা দেওয়া, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ, চক্ষু স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষাদান, সক্ষমতা ও চক্ষুসেবা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা।